এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ধর্মঘটে উপস্থিত না হওয়ায় শোকজ থেকে বরখাস্ত – সবই শুরু হয়ে গেল, শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে

ধর্মঘটে উপস্থিত না হওয়ায় শোকজ থেকে বরখাস্ত – সবই শুরু হয়ে গেল, শোরগোল রাজ্য-রাজনীতিতে


গত 8 এবং 9 জানুয়ারি সারা দেশজুড়ে বাম সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে দু’দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর এই ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কড়া মনোভাব নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, “সমস্ত সরকারি কর্মচারীকে তাদের নিজের দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে। আর তা না হলে তাঁদের কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ দেওয়া হবে।”

এদিকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছিল বনধ সমর্থনকারীরা। আর এবার সেই বনধের দিনে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা দপ্তরে উপস্থিত হননি তাঁদের শোকজ ও চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সূত্রের খবর, উত্তর দমদম পুরসভার কর্তৃপক্ষের তরফে এই বনধের দিন অনুপস্থিত হওয়ার কারণে সেই পুরসভার 4 জন অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিশ ধরানো হয়েছে।

পাশাপাশি শোকজ করা হয়েছে একজন স্থায়ী কর্মী ও 3 জন প্যাকেজ কর্মীকে। জানা গেছে, বনধের দিন অনুপস্থিত হওয়ার কারণে শাস্তির মুখে পড়েছেন এই উত্তর দমদম পুরসভার পিএফ বিভাগ, হাসপাতাল, জনসাস্থ, এস্টাবলিশমেন্ট এবং জল বিভাগের কর্মীরা। কিন্তু 8 ই জানুয়ারি বনধের দিন অনুপস্থিত হওয়ার কারণে এই সমস্ত পুর কর্মচারীদের বরখাস্ত এবং শোকজের নোটিশ দেওয়া হলেও সেই নোটিশে কারণ হিসেবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বহিষ্কার হওয়া এক কর্মী বলেন, “আমি গত 5 ই জানুয়ারি থেকে 12 ই জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাহলে কি করে আমি ধর্মঘটের দিন উপস্থিত হব! আমাকে বহিস্কারের যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাতে ধর্মঘটের দিন না থাকার জন্য চাকরি গিয়েছে এরকম কথাও লেখা হয়নি।”

একই অভিযোগ করে বহিষ্কৃত আর এক কর্মী বলেন, “কি কারণে এই বহিষ্কার তা জানতে গেলে মুখে ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে চাকরি গিয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু নোটিশে কিছু লেখা নেই।” এদিকে এইভাবে কাউকে বহিষ্কার করা যায় না বলে ইতিমধ্যেই তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দমদম পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে সেখানকার বিরোধী দল বামেরা। ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বহিষ্কার করা এই কর্মীদের ফের চাকরিতে ফিরিয়ে আনার জন্য বামেদের পক্ষ থেকে পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পুরসভার বামেদের বিরোধী দলনেতা সুনীল চক্রবর্তী বলেন, “ধর্মঘট গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রয়োজন হলে কোনো কারণ ছাড়াই শোকজ বা বহিস্কার করার অধিকার কারোর নেই।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

তবে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ধর্মঘটের দিন নোটিশ দিয়ে প্রত্যেককে আসতে বলা হয়েছিল, তবে তাঁরা আসেননি কেন? নিয়ম অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুরসভাই নেবে।”

সব মিলিয়ে এবার কথা মতোই ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত হওয়ায় উত্তর দমদম পুরসভার অনেক কর্মীকে শোকজ এবং বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল সেই পুরসভার অন্দরেই। এখন আদৌ পুরসভা তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!