এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে বহুল লোক সমাগমের মাঝে শাসকদলের দলবদলের অনুষ্ঠান, উঠছে প্রশ্ন !

শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে বহুল লোক সমাগমের মাঝে শাসকদলের দলবদলের অনুষ্ঠান, উঠছে প্রশ্ন !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মোট করোনা সংক্রমণ ১ লক্ষ ৭১ হাজারের গন্ডি অতিক্রম করেছে। ভারতের সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান বর্তমানে সপ্তম। রাজ্য জুড়ে করোনার আক্রমণে উদ্বিগ্ন পশ্চিমবঙ্গ সরকার সারা রাজ্যে যেকোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সরকারের এই বিধিনিষেধ বারবার ভঙ্গ করতে দেখা যাচ্ছে শাসক দলের বেশ কিছু নেতা-নেত্রীদেরই। রাজ্য পুলিশও এ ব্যাপারে সম্পূর্ন নীরব।

পুলিশের এই নীরবতা রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন নেতা নেতা নেত্রীদের এই সামাজিক দূরত্ব বিধি অমান্য করার কাজে বিশেষভাবে উৎসাহ যোগাচ্ছে। বিরোধীদের দাবি সামাজিক দূরত্ব বিধি লংঘন করে তাদের উপরে যতটা খড়গহস্ত হয়ে পুলিস, শাসকদলের কেউ এমনটা করলে পুলিশের নির্বাক ভূমিকাই চোখে পড়ে।

প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি বনগাঁ ব্লকটি যথেষ্ট ভাবে করোনা আক্রান্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বনগাঁ ব্লকের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮৬ জন। যার মধ্যে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৮৩ জন। আর এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। করোনা সংক্রমণ যেখানে এরকম ভয়াবহ, সেই ব্লকেই সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি তথা সামাজিক দূরত্ব বিধি অপসারণ করে এক বিরাট জনসমাগম করলো শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল বৃহস্পতিবার শাসকদল তৃণমূল পক্ষ থেকে দুটি বৃহৎ আকারের সভার আয়োজন করা হলো বনগাঁ ব্লকের রামচন্দ্রপুর এবং পাইকপাড়া এলাকা দুটিতে। কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী এদিন জমায়েত হয়েছিল বলে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন। শাসক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শিবিরে বিরোধী দল বিজেপি ও তৃণমূল ছেড়ে বহু মানুষ শাসক দলে যোগদান করেছেন। প্রসঙ্গত গতকাল রামচন্দ্রপুরের সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা মমতা বালা ঠাকুর ও প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। গতকালের রামচন্দ্রপুরের এই সভা প্রসঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ বলেছেন, ” বিজেপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসেছিলেন মানুষ। দূরত্ববিধি বজায় রাখা হয়েছিল।’’

কিন্তু সাধারণ মানুষ ঠিক বিপরীত কথাই জানালেন। শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এই সভাতে এক বিপুল জনসমাগম ঘটিয়েছে শাসকদল। তার ওপরে অনেকের মুখেই মাস্ক এর উপস্থিতি ছিল না। যেখানে এমনভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে এমনতর সভার আয়োজনে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জমায়েত না করার, সভা অনুষ্ঠান না করার ঘোষণা যেখানে বারবার করা হচ্ছে, বার বার করে যখন বলা হচ্ছে ১০০ জনের বেশি সমাগম করা চলবে না। সেখানে শাসকদল কিভাবে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করে? এ নিয়ে যথেষ্ট খুব সাধারন মানুষ।

এ প্রসঙ্গে বনগাঁর প্রাক্তন বামপন্থী বিধায়ক ও সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা পঙ্কজ ঘোষ জানিয়েছেন, ” প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারালে ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’’ অন্যদিকে বনগায় করোনা সংক্রমনের ব্যাপারে শাসকদল তৃণমূলকে অভিযোগের কাটগড়ায় তুলে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” বনগাঁ-সহ গোটা রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ তৃণমূলের রাজনৈতিক কার্যক্রম। আমরা কোনও কর্মসূচি পালন করলে বলা হচ্ছে লকডাউন ভাঙা হয়েছে। দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। অথচ তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলেছে।’’

প্রসঙ্গত, গতকাল বনগাঁর কোন সিপিএম বা কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেনি বলে সিপিএম ও বিজেপি উভয় দলের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!