বাংলা সাহিত্যজগতের নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন কল্পবিজ্ঞানের কিংবদন্তী কলকাতা রাজ্য April 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলা সাহিত্য জগতে আবারও নক্ষত্রপতন। কিছুদিন আগেই বাংলার সাহিত্য জগতকে ধাক্কা দিয়ে চলে গিয়েছেন কবি জগতের অন্যতম নক্ষত্র শঙ্খ ঘোষ। আর এবার কল্পবিজ্ঞানের ঝুলি নিয়ে যিনি আসতেন মন ভোলাতে, সেই অনীশ দেব চলে গেলেন করোনার মরণকামড়কে উপেক্ষা করতে না পেরে। আজ সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 70 বছর। কিছুদিন আগেই সাহিত্যিক অনীশ দেবের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা চলছিল, প্রয়োজন পড়েছিল প্লাজমা ডোনারের। তাঁকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আর করোনার সাথে যুদ্ধে পেরে উঠলেননা। চিরবিদায় নিলেন অনীশ দেব। বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান জগতের যেকজন লেখকের নাম করা যায়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দুইজন প্রথিতযশা লেখক হলেন অদ্রীশ বর্ধন এবং অনীশ দেব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অদ্রীশ বর্ধন তো গত বছরেই মারা গিয়েছিলেন। আর এ বছর তাঁর পেছন পেছন চলে গেলেন অনীশ দেব। সাহিত্যিক অনীশ দেব লেখালেখি শুরু করেছিলেন মাত্র 17 বছর বয়সে। তার প্রথম লেখা ‘রহস্য’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নামজাদা বাংলা এবং ইংরেজী পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মূলত তিনি গোয়েন্দা, রহস্য, ভৌতিক, আলৌকিক এবং কল্পবিজ্ঞান নিয়ে লিখতেন। গল্পের বই ছাড়াও তিনি বাংলায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেছিলেন কিশোরদের জন্য। একই সাথে তিনি ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যা নিয়েও লিখেছিলেন। 2019 এ কিশোর সাহিত্যে অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বিদ্যাসাগর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়াও প্রাচীন কলাকেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার এবং ডঃ জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ পুরস্কারের মতন সম্মান তাঁর ঝুলিতে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলা সাহিত্য সমাজ অনীশ দেবের মৃত্যুতে ব্যাপক শোকগ্রস্ত। করোনার কোপে জারি আছে মৃত্যু মিছিল। কিন্তু সেই মিছিলে যেভাবে একের পর এক নক্ষত্র গিয়ে মিলছে তা মেনে নিতে যে যথেষ্ট কষ্ট করতে হচ্ছে তা বলাইবাহুল্য। আপনার মতামত জানান -