এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলার চার সাংসদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিলেন মোদী, ২৪-এর লক্ষ্যেই কি ঘুটি সাজানো শুরু?

বাংলার চার সাংসদকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিলেন মোদী, ২৪-এর লক্ষ্যেই কি ঘুটি সাজানো শুরু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এ বহু চেষ্টা করেও বাংলার ক্ষমতা দখল করা সম্ভব হয়নি। নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহরা পর্যন্ত ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাংলা দখল করবার জন্য। কিন্তু তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, বিজেপি বাংলাকে সম্মান দেয় না। এক্ষেত্রে বাংলার মানুষ বহু কষ্ট করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে 18 টি আসন পাইয়ে দিলেও সেভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার সাংসদদের জায়গা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দুজন সাংসদ অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রী করে বাংলাকে আরও অসম্মানিত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, নির্বাচনী প্রচারে এই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আর বাংলার নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যান্য রাজ্য থেকে একাধিক নতুন মুখ নিয়ে আসার পাশাপাশি এবার বাংলার দিকেও বাড়তি নজর দিতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরকে। যেখানে উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদ এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। যার মধ্যে রয়েছেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামানিক, আলিপুরদুয়ারের জন বারলা, বাঁকুড়ার সুভাষ সরকার এবং বনগাঁর শান্তনু ঠাকুর। আর বাংলার তিন অঞ্চল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে বাংলার জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ এবং মতুয়া সম্প্রদায়কে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করল ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় মোদী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। যেখানে বাংলা থেকে নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া যুব কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয় বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ জন বারলাকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এবং বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে দেওয়া হয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। একাংশ বলছেন, এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে এই চার সাংসদ নিজেদের এলাকায় ভালো ফল করানোর জন্য তৎপরতা অবলম্বন করেছিলেন। আর তারা অনেকটাই সাফল্য পেয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই তাদের পুরস্কার স্বরূপ এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে নিজের এলাকায় ভালো ফলাফল না হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেবশ্রী চৌধুরী এবং বাবুল সুপ্রিয়কে। স্বাভাবিকভাবেই এখন তারা শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ। তবে উত্তরবঙ্গের দুই সাংসদ, মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং জঙ্গলমহলের বাঁকুড়ার সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে বিজেপি কার্যত বাংলার মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা 2024-কে লক্ষ্য রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই তাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে শুরু করেছে। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বাংলাতে যাতে থাবা বসানো যায়, তার জন্য বাংলার মানুষের মন পেতে চার গুরুত্বপূর্ণ সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলার চার সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হলেও, এতে বাংলার অপমানই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাদের দাবি, বিজেপি বাংলাকে এতটাই ছোট চোখে দেখে যে, একজন পূর্ণ মন্ত্রী করা হল না। চার সাংসদকে শুধুমাত্র মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল। কিন্তু তাদের প্রতিমন্ত্রী করে রাখা হল। এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত, বিজেপি শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করছে। বাংলার প্রতি তাদের কোনোরুপ শ্রদ্ধা নেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, 2024 এর লক্ষ্যে ঘুটি সাজাতে বাংলার দিকে বাড়তি নজর দিয়েই যে চার সাংসদকে মোদী মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হল, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!