এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাংলার শিক্ষিতদের একি হাল! মমতার বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ! জেরবার তৃণমূল!

বাংলার শিক্ষিতদের একি হাল! মমতার বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ! জেরবার তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার প্রতি নাকি বঞ্চনা করা হচ্ছে! সেই অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্ণা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই রাজঘাটে বসে সত্যাগ্রহ আন্দোলন করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। কিন্তু তৃণমূল যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন, তখন সেই দিল্লির বুকেই বাংলা থেকে যাওয়ার শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা ধরনায় বসে পড়লেন। তাদের মূল অভিযোগ, রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। আর এর ফলে ভারতবর্ষের রাজধানীতে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, তাদের কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট হলো যে, বাংলায় শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের কি করুন পরিণতি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার কিভাবে শিক্ষিতদের অবহেলা করছে, সেই বিষয়টি কার্যত সামনে চলে এলো এবং এর ফলে তৃণমূলের আন্দোলন ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে পৌঁছে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার 2009 সালের প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের একটি অংশ। যেখানে দিল্লী পুলিশের কাছে তারা যন্তর মন্তরে ধর্ণা করার অনুমতি চায়। আর সেই অনুমতি পেয়েই সেখানে ধর্না করেন বাংলার চাকরি প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এই রাজ্য সরকার কথা দিয়েও তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই তারা দিল্লির বুকে এই ধর্ণা করছে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তৃণমূল তো দিল্লিতে ধর্ণা করছে, কেন্দ্রের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে। কিন্তু সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ যেভাবে দিল্লিতে ধরনায় বসে পড়ল, তাতে বাংলার শাসক দলের কি বিন্দুমাত্র লজ্জা হচ্ছে? তাদের যে সমস্ত নেতারা দিল্লিতে এসে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্না দিচ্ছেন, তারা কি এবার এই শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীদের দিকে একটু মনোযোগী হবেন! তাহলে তো অন্তত বাংলায় চাকরি নিয়ে যে আকাল তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও মিটবে? কিন্তু সেই দিকে নজর না দিয়ে দিল্লিতে এসে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন তৃণমূলের নেতাদের মুখ থেকে মানায় না বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

তাদের আরও দাবি, শিক্ষিতদের যেমন চাকরি দিতে পারে না এই সরকার, তেমনই তাদের আন্দোলন করার অনুমতিও পাওয়া যায় না বাংলায়। সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রকে এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে হত্যা করছে তৃণমূলের সরকার। সেই কারণে দিল্লির বুকে এই শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। এই তো আজকে বাংলার পরিস্থিতি। আর তৃণমূল কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে দিল্লিতে এসে নাটক শুরু করেছে। আজকে এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল যে, বাংলায় কি করুন পরিণতি! গোটা দেশের সামনে এই একটি চিত্র প্রমাণ করে দিল, বাংলার সরকারের ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু কিল মারার গোসাই।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লির বুকে এইরকম কিছু একটা হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তৃণমূল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলছে। কিন্তু সেই তৃণমূল যে বাংলার শিক্ষিত বেকার চাকরিপ্রার্থীদের ওপর কিভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে, তা দিল্লির সরকারের নজরে আনার দরকার ছিল। আর সেটাই করে দেখালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার 2009 সালের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। তারা কার্যত তৃণমূল নেতাদের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন। আর এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে লজ্জায় পড়ল, তাতে তারা কোথায় মুখ লুকোবে, সেটাই দেখার বিষয় রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!