দিল্লি অনেক দূর, বাংলায় শুভেন্দুর খেলা দেখেই চমকে উঠলেন মমতা! জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 2, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দিল্লিতে বাংলার প্রতি বঞ্চনা হচ্ছে, এই অভিযোগে ধরনা দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বাংলায় নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা, দোষ, ত্রুটি, অভাব, অভিযোগ তাদের নজরে আসছে না। তারা এখন দিল্লি নিয়ে ভাবছে। তবে তৃণমূল ভেবেছিল যে, দিল্লিতে ধরনা দিয়ে তারা বিজেপিকে চাপে রাখবে। কিন্তু তারা যখন কর্মীদের নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে হট্টগোল করার চিন্তা করছে, তখনই বাংলায় সেই তৃণমূলকেই চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গান্ধী জয়ন্তীর দিন একেবারে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলেন তিনি। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মাস্টার পদক্ষেপে রীতিমত চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় গান্ধীজীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে স্লোগান তুলে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং বঞ্চনা নিয়ে বিক্ষোভ করে রাজ্যের বিরোধী দল। আর বিজেপির এই কর্মসূচি দেখে রীতিমত চাপে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল ভেবেছিল যে, দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তারা ফায়দা নেবে। কিন্তু বাংলায় একজন বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, আর তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। এটা হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে গিয়েছিলেন। তাই দিল্লিতে যখন তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে চাপে রাখতে মরিয়া, ঠিক তখনই বাংলায় সেই তৃণমূলকে দশ শূন্য গোল দিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে জন্যেই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ রেখেছে। বাংলার প্রতি কোনো বঞ্চনা করা হয়নি। গরিব মানুষের কাছে যাতে টাকা পৌছে যায়, সেই কারনেই রাজ্য সরকারকে হিসাব দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য তা দেয়নি। উল্টে তারা দিল্লিতে গিয়ে ধর্না করছে। তবে তাদের মুখোশ বাংলায় বিধানসভায় বিক্ষোভ করে কার্যত টেনে খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন স্বপ্ন দেখছেন, তিনি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু তিনি বাংলাই সামলাতে পারছেন না, আবার ভারতবর্ষ দখলের চেষ্টা করছেন! তাই নিজের দলকে দিল্লির বিক্ষোভের সামিল করার নির্দেশ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী ভেবেছিলেন যে, এতে তার অনেক ফায়দা হবে। কিন্তু সেসব অতীত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাংলায় তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়ে যে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তাতেই ব্যাপক চাপে পড়ে গেল ঘাসফুল শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -