এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কংগ্রেস-BJP জোট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রধান, উপপ্রধানসহ চারজন পঞ্চায়েত সদস্যর

কংগ্রেস-BJP জোট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রধান, উপপ্রধানসহ চারজন পঞ্চায়েত সদস্যর

লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস-বিজেপিকে চাপে ফেলে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান সহ চারজন পঞ্চায়েত সদস্য। এর জেরে এলাকার শাসকদলের মুখে হাসি ফুটলেও অস্বস্তিতে পড়ল বিরোধীরা।

কংগ্রেস-বিজেপি জোট ছাড়ার প্রসঙ্গে প্রধান দীপককুমার শ্যাম ও উপপ্রধান পুনম শর্মা জানান, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর কংগ্রেস এবং বিজেপি যৌথ উদ্যোগে বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু প্রথম থেকে অসহযোগী আচরণ করেছে তৃণমূল৷ আর সেজন্যেই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে জোট ছেড়ে তৃণমূলের হাতধারাকেই সঙ্গত বলে মনে করছেন তাঁরা। এদিন ধুপগুড়ি জেলা পরিষদের বাংলোয় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর দলের তাঁদের স্বাগত জানালেন।

জেলা সূত্রের খবর,গত পঞ্চায়েত ভোটে ২৩ টি আসন সম্বলিত বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৬ টি,কংগ্রেস ৯ টি,বিজেপি ৭ টি এবং সিপিআইএন ১ টি আসন লাভ করে। কংগ্রেস এবং বিজেপি তৃনমূলকে টেক্কা দিলেও পরে কংগ্রেসের ৪ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের মোটা আসন সংখ্যা হয় ১০। এরপর কংগ্রেস ৫, বিজেপি ৭ ও সিপিআইএম ১টি সবমিলিয়ে ১৩ টি আসন নিয়ে যৌথভাবে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস ও বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পঞ্চায়েত প্রধান পদে দীপককুমার শ্যাম এবং উপপ্রধান করা হয় পুনম শর্মা নির্বাচিত হন। এরপর লোকসভা ভোটের ঠিক প্রাক্কালে কংগ্রেস বিজেপি জোট ছেড়ে বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান সহ ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সংগঠন পোক্ত হয়েছে। ওদিকে হাসি উড়েছে বিরোধীশিবিরের।

এ প্রসঙ্গে সদ্য দলবদল করা পঞ্চায়েত সদস্যা যমুনা মাহালি বলেন,”কংগ্রেসে থেকে আমরা কাজ করতে পারছিলাম না। তৃণমূল আমাদের সহযোগিতা করছিল না। তাই আমরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিলাম। শুধু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্যই নয়, আমরা গ্রামের উন্নতি চাই। তাই দল বদলের সিদ্ধান্ত।”

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর বক্তব্য,বিরোধী শিবির থেকে সদস্যরা এলে লোকসভা ভোটের মুখে শাসকদলের সংগঠনকে শক্তিশালী করল। যেহেতু বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত জলপাইগুড়ি জেলার মাদারিহাট বিধানসভার মধ্যে পড়ে। তাই এই দলবদলের ফলে আগামীদিনে মাদারিহাটে বিজেপির কোনো অস্তিত্ব থাকল না৷ স্বাভাবিকভাবেই অনেকটাই শক্তি বেড়ে গেল শাসকদলের। লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে জোড়াফুল,এমনটাই দাবী করলেন তৃণমূল নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!