এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > বাংলায় একযোগে প্রভাব বাড়াচ্ছে চার-চারটি জঙ্গি গোষ্ঠী? গোয়েন্দা রিপোর্টে উড়তে চলেছে ঘুম?

বাংলায় একযোগে প্রভাব বাড়াচ্ছে চার-চারটি জঙ্গি গোষ্ঠী? গোয়েন্দা রিপোর্টে উড়তে চলেছে ঘুম?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ক্রমশ প্রভাব বাড়াচ্ছে বেশকিছু আতঙ্কবাদী জঙ্গী সংগঠনের। যার ফলে দুই বাংলার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে চারটি জঙ্গী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলোর আনাগোনা। এই জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশের জঙ্গি দমন শাখা সিটিটিসি বা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম এর কাছে বিশেষ কোনো তথ্য নেই। তথ্যের অভাবে এদের নিয়ন্ত্রণ শক্ত হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে জঙ্গী সংগঠন জেএমবির ১৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এই জঙ্গি সংগঠনটি ইতিপূর্বে বাংলাদেশ হোলি আর্টিজান বেকারি হামলা সংঘটিত করেছিল। এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল তামিম চৌধুরী ও সারোয়ার জাহান। এরপর বাংলাদেশের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় এই দুই জঙ্গির। এরপর থেকেই চারটি ভাগে ভাগ বিভক্ত হয়ে গেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী।

এই চারটি শাখা গোষ্ঠীর মধ্যে একটি হলো তামিম-সারোয়ার গোষ্ঠী। যার নেতৃত্বে আছে আবু মোহাম্মদ আল বাঙালির। একসময়ে যার বাস ছিল সিরিয়া। গোয়েন্দারা মনে করেন এটি তার প্রকৃত নামও নয়। আইএসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জঙ্গি নেতা। এর সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছে বিশেষ কোনো তথ্য না থাকায় সমস্যা বাড়ছে। সম্প্রতি তার নেতৃত্বে এই জঙ্গি সংগঠন লোন উলফ’ বা ‘একক হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে। একজন মাত্র জঙ্গি দ্বারা এই হামলা করানো হয়। এই জঙ্গি গোষ্ঠী নতুন সদস্য খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে হাত বাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে এরা সদস্য সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, নব্য জেএমবির গোষ্ঠীর তিন শাখা নব্য জেএমবি ওয়াহেদ গ্রুপ, সিলেটি গ্রুপ ও খুলনা গ্রুপ নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য নজর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এদের মধ্যে ওয়াহেদ গ্রুপ এর নেতা আব্দুল ওয়াহেদ ইয়েমেন সীমান্ত অঞ্চলে লুকিয়ে তার জঙ্গিগোষ্ঠীকে পরিচালনা করছে। সম্প্রতি, সিলেটি গ্রুপ ও খুলনা গ্রুপ এর বেশ কিছু সদস্য বাংলাদেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। তাই এই জঙ্গি সংগঠনগুলি সম্প্রতি হামলার চেয়ে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধিতেই ব্যস্ত আছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় কোন ধনী পরিবার বা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষিত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করত এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। কিন্তু সম্প্রতি শ্রমজীবী নিম্নআয়ের যুবক-যুবতী ও অল্প শিক্ষিতদের মধ্য থেকে সদস্য সংগ্রহের কাজে এরা নেমে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ব্যাপকহারে সদস্য সংগ্রহ করছে বলে গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে। অর্থের লোভ দেখিয়ে, নারীসঙ্গের লোভ দেখিয়ে কোন এলাকা থেকে বিশেষ একজনকে নেতা করে দিচ্ছে। তারপর তার দ্বারাই চলছে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ। এরপর নতুন সদস্যদের বেনাপোল বা দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে সহজেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!