প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন যেখানে বিজেপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে বা হিন্দুত্ব নিয়ে জয়জয়কার করছে, এমনটাই মন্তব্য করে আসছিলেন বিরোধীরা, সেখানে সম্প্রতি তাঁদেরকে চমকে দিয়ে বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে। একদিন যে দিলীপ ঘোষের কথায় গোমাতা থেকে শুরু করে হিন্দুত্ববাদ নিয়ে মন্তব্য শুনেছিলেন রাজনৈতিক সমালোচকরা, সেখানে সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য রাজনীতির ময়দানে নির্বাচনের আগে নতুন চমক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

যা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি জল্পনায় ভরপুর হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ উড়িষ্যা সীমান্তে রামপুরায় একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। আর সেখানেই ওই সভার মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার সরকারকে নানা বিষয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।

এদিন ডায়মন্ড হারবারের ঘটনায় শিরাকোলের কাছে রাস্তায় বিজেপিকে ঘিরে গাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া,ইঁট ছোঁড়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি তিনি কোনদিন দেখেননি। সেইসঙ্গে বাংলায় চাকরি নেই, ব্যবসা নেই বাংলায় কোন কাজ না পেয়ে বাংলার মানুষকে বাইরে যেতে হচ্ছে বলেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাঁকে।

সেখানে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,”এখানে দিদিমনির ভাইদের পিছনে পিছনে ঘুরতে হয় তাদের মেয়েদের সবুজ সাথী সাইকেল পাইয়ে দেওয়ার জন্য।” শুধু তাই নয়, এতদিন তৃণমূল যেখানে কেন্দ্রকে রেশন নিয়ে খোঁচা দিয়ে এসেছে, সেখানে এই প্রসঙ্গ নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা গেছে দিলীপ ঘোষকে।

এদিন তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্র থেকে পচা চাল সাধারণ মানুষকে খেতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আসলে ভাল চাল উড়িষ্যা এবং বাংলাদেশ বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে চাল গম চোর বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে।

এদিন সভার মঞ্চ থেকে সেইসঙ্গে বাংলায় মুসলমানদের কোনো উন্নতি হয়নি বলেই দাবি করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল যে গুজরাটের সব মুসলিমদের মেরে ফেলা হচ্ছে। সেখানে গুজরাটের মুসলমানরা চারচাকা গাড়ি চালাচ্ছে, বিদেশী গাড়ি চালাচ্ছে, সেটা দেখে আসার কথা বলতে শোনা গেছে তাঁকে।

তাঁর কথায়, বাংলায় মুসলিম ভাইদের একটি বাইকও জোটে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলায় মুসলিম সমাজের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “না ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা হচ্ছে, না বাড়ি পাচ্ছে। সব লুট হয়ে যাচ্ছে।”

সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিদিমণি মরার সময় হরিনাম করছেন। ১০ বছরে কিছু করেননি। মানুষ ১০ বছর তৃণমূল সরকারকে সময় দিয়েছিল কিন্তু কিচ্ছু করেনি।” সেইসঙ্গে এদিন সভা শেষ করে তিনি ওই এলাকার বিশিষ্ট মানুষের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুফল নিয়ে আলোচনা করেন বলেও জানা গেছে।