এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সর্বনাশ! একে করোনায় রক্ষে নেই এবার দোসর হতে চলেছে এই ভয়ঙ্কর মহামারী? প্রবল আশঙ্কা বাংলায়?

সর্বনাশ! একে করোনায় রক্ষে নেই এবার দোসর হতে চলেছে এই ভয়ঙ্কর মহামারী? প্রবল আশঙ্কা বাংলায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিপদ কখনও একা আসে না, বস্তুত জলে কুমির ডাঙায় বাঘ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। একে তো রাজ্যে দাবানলের মতো বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তার উপরে রাজ্যে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কালাজ্বরের বিপদ। কালাজ্বরে রাজ্য থেকে প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবার কালাজ্বরের আশঙ্কা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সঙ্গে কালাজ্বর নিবারণেরও বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কালাজ্বরের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা, রাজ্য থেকে বাইরে কাজ করতে যাওয়া বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গেই এই রোগটি রাজ্যে চলে এসেছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে কালাজ্বর আক্রান্তর সংখ্যা ১১০ জন। তবে আশার বিষয় এটাই যে, এখনো পর্যন্ত কালাজ্বরে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতবছর কালাজ্বরে আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৮৭ জন রাজ্যজুড়ে। সম্প্রতি যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের ‘ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ এর তথ্য অনুযায়ী ক্ষুদ্রাকৃতি এক বেলেমাছি থেকেই ছড়ায় এই কালাজ্বর। এই মাছির দেহে বাসা বাঁধে এক ধরনের ক্ষুদ্র পরজীবী। এই পরজীবী মানব দেহের স্পর্শে এলেই মানবদেহে সংক্রমিত হয় কালাজ্বর। কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসবে। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কিছুতেই কমতে চাইবে না এই জ্বর। ইতিমধ্যেই লিভারের সমস্যা দেবে, প্লীহা বড় হয়ে যাবে। সেইসঙ্গেই শরীরে দেখা যাবে কালো কালো দাগ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাস্থ্য দপ্তরের জনৈক বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্তা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শীতলকুচি, মালদার হবিবপুর ব্লকে কালা জ্বরের রোগীর সন্ধান সম্প্রতি পাওয়া গেছে। এই স্থানগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল স্থানগুলিতে ইতিমধ্যেই গিয়েছে। এই স্থানগুলি থেকে ২২ জন রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁরা সকলেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ভুক্ত। এই রোগীদের ৫৬ দিনের ওষুধ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া, বনগাঁ, বসিরহাট সীমান্তের বেশকিছু গ্রামে কালাজ্বর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ডিডিডি স্প্রে করা শুরু হয়েছে। জনৈক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিহার, ঝাড়খন্ড উত্তরপ্রদেশে ইত্যাদি রাজ্যগুলি থেকে গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যে ফিরে এসেছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। যারাই সম্ভবত বহন করে নিয়ে এসেছেন এই অসুখটিকে। রাজ্যের মোট সাতটি জেলাতে কালাজ্বর আক্রান্তর খবর এসেছে। তবে, এখনো পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, এবছর পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশ থেকে কালাজ্বর নির্মূল করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে করোনার সংক্রমণের কারনে সে কাজে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। রাজ্যে করোনার সংক্রমনের ফলে হাসপাতালে বেডের অমিল ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এরপর যদি বাড়তে থাকে কালাজ্বরের সংক্রমণ, তাহলে যে কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা ভেবে উদ্বেগে আছেন চিকিৎসকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!