‘গদা’ দিয়েই দুষ্কৃতীদের ‘ঠান্ডা’ করার নিদান দিয়ে বসিরহাটে ঝড় তুলছেন সায়ন্তন বসু নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য April 17, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি যে কটা আসনকে পাখির চোখ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হল বসিরহাট লোকসভা। কিন্তু, গত দুবার যে আসন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস হাসতে হাসতে জিতেছে, যে আসনের প্রায় অধিকাংশ ভোটারই সংখ্যালঘু এবং এবারের লোকসভায় যে আসনে শাসকদল তারকা প্রার্থী নুসরত জাহানকে টিকিট দিয়েছে – সেই আসন কি করে বিজেপির জন্য ‘সাম্ভাবনাময়’ আসন হয়? গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ঢুঁ মারলে – শোনা যাচ্ছে একাধিক সমীকরণের কথা। আর তারফলেই এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম উজ্জ্বল ও প্রতিশ্রুতিমান মুখ সায়ন্তন বসুকে। কি সেই সমীকরণ – যার জন্য বিজেপি এখানে জেতার স্বপ্ন দেখছে? এই প্রসঙ্গে সায়ন্তনবাবুর অন্যতম সারথী দেবাশীষ শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই আসনে গত দুবার তৃণমূল জিতলেও – দুবারেই কিন্তু সাংসদ বদল করতে বাধ্য হয়েছে শাসকদল। এর পিছনে কারণ কি? এলাকাতে ঘুড়ে যা বোঝা যাচ্ছে, দুজনের বিরুদ্ধেই স্থানীয় স্তরে একাধিক ক্ষোভ – ফলে পুনরায় টিকিট দিলে হার নিশ্চিত বলেই এখানে বারেবারে প্রার্থী বদলাতে বাধ্য হয়েছে শাসকদল। আর সংখ্যালঘুই বলুন আর সংখ্যাগুরুই বলুন – সাধারণ মানুষ চান শান্তি! কিন্তু, এইসব এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে বাড়ির মেয়েরা বাইরে বেড়োতে আতঙ্কে কাঁপে – এতটাই উচ্চগ্রামের দুষ্কৃতী সন্ত্রাস চলে এই এলাকায়! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দেবাশীষবাবুর আরও বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলের হাতে, এখানকার সাংসদও তৃণমূলের – তা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরাজে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এখানে এসে খোঁজ নিন, তাহলেই দেখতে পাবেন এই দুষ্কৃতীরাজ বন্ধ করা তো দূরের কথা, শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মূল অভিযোগ সেই দুষ্কৃতী কান্ড-কারখানায় পূর্ণ মদত দেওয়ায়। এখানে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এইসব অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করে কিভাবে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে তা মাত্র দেড় বছরের বিধায়ক জীবনে দেখিয়ে দিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। আর তাই সায়ন্তন বসু এখানে প্রার্থী হতেই ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে সকলেরই এক দাবি, এলাকায় শান্তি ফেরান, ব্যবস্থা করুন কর্মসংস্থানের। আর সাধারণ মানুষের এই ‘পাল্সটা’ প্রথম দিনেই বোধ হয় যথাযথ ভাবে ধরে নিয়েছেন রাজনৈতিক মহলে অত্যন্ত ‘ডাকাবুকো’ বলে পরিচিত সায়ন্তন বসু। আর তাই, বসিরহাটে পা দিয়েই স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাদের বুকে গুলি করানোর হুমকি দেন প্রকাশ্য জনসভায়। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে স্থানীয় পুলিশ – নির্বাচন কমিশনও নড়েচড়ে বসে। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে জিতলে বসিরহাটের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতীরাজকে’ চিরতরে হিমঘরে পাঠানোই যে তাঁর পাখির চোখ তা বোধ হয় মনে মনে ঠিকই করে ফেলেছেন তরুণ এই বিজেপি প্রার্থী। আর তাই ‘গদা’ নিয়ে রামনবমীর মিছিলে হেঁটে আবারো দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন সায়ন্তন বসু। গতকাল ‘গদা’ হাতে রামনবমীর মিছিল থেকেই সায়ন্তনবাবুর স্পষ্ট বার্তা, নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বার্তাই দিতে চাই। আমি যেহেতু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি এবং একইসঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছে – তাই সেখানে নির্বাচনী প্রচার করতে আসিনি। কিন্তু, মানুষের যে প্রতীকগুলো আছে আমরা সেগুলি ভুলব না – দুষ্কৃতীদের দমন করার জন্য প্রয়োজনে অস্ত্রের ব্যবহার করা হবে। যেরকমভাবে অস্ত্রের প্রয়োজন ঠিক সেভাবেই করা হবে। আমাদের সেই চিরাচরিত ঐতিহ্য বোঝানোর জন্যই আজকে এখানে গদা নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, সায়ন্তনবাবুর ফের দুষ্কৃতী দমনে অস্ত্র ব্যবহার করার মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় মানুষ, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায় যে এই ‘ডেয়ার-ডেভিল-অ্যাটিচুডকেই’ পছন্দ করছেন – তা সায়ন্তনবাবুর প্রচারে সাধারণ মানুষের ঢল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বসিরহাটের ‘পাল্স’ বুঝে দুষ্কৃতীরাজ খতমের বার্তা দিয়ে কিন্তু গোটা লোকসভা কেন্দ্র জুড়েই রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছেন বঙ্গ-বিজেপির অন্যতম ‘পোস্টার-বয়’ সায়ন্তন বসু। আপনার মতামত জানান -