এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বানভাসি নন্দীগ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে শাসক ও বিরোধী দলের নেতা নেত্রী, তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর

বানভাসি নন্দীগ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে শাসক ও বিরোধী দলের নেতা নেত্রী, তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কলকাতা শহর যেখানে জলের তলায় প্রায়, সেখানে গ্রামে-গঞ্জে তো অবস্থা যে আরও দুর্বিষহ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে একদিকে যেমন বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায় ঢুকে গেছে, ঠিক সেরকমই রাস্তার উপর দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘরের মধ্যেও জল ঢুকে গেছে বহু জায়গায়। এই অবস্থায় নন্দীগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের ওপর। কার্যত ভোটের আগে যেভাবে নন্দীগ্রাম ভরে উঠেছিল একের পর এক ভিআইপির আগমনে, ভোট মেটার পর থেকে কার্যত সেভাবে কাউকেই দেখা যাচ্ছেনা।

প্রসঙ্গত নন্দীগ্রাম থেকে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামবাসীর অভিযোগ, অতিবৃষ্টিতে তারা যখন নিতান্তই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন, ঠিক সেসময় শাসক কিংবা বিরোধী- কেউই তাঁদের খোঁজ নিচ্ছেনা। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূল নেতা আবু তাহের জানিয়েছেন, এলাকায় বৃষ্টির জল জমে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে বন্যা না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি। তিনি জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামলে নদীতে ভাটা আসলে জল ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে। তবে এবারের বৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং একথা স্বীকারও করে নিয়েছেন আবু তাহের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানিয়েছেন, আমন ধানের চারা রোয়ার কাজ শেষ হয়েছিল সদ্য। বৃষ্টির জলে সমস্ত বীজতলা ধান জলের তলায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের কোন খোঁজ নিচ্ছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস। তাঁর অভিযোগ বৃষ্টির মধ্যে এলাকার বিধায়ক বা সাংসদ কাউকেই দেখা যাচ্ছেনা। কার্যত নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকাটি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এবং সেখানকার সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী।

তিনি এখনও তৃণমূলে রয়েছেন সাংসদ হিসাবে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে বিধায়কের অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নয়ন সামন্ত জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামলেই শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় এসে খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন। কার্যত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমস্ত এলাকার রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের দিল্লি থেকে ফিরেছেন। আপাতত নন্দীগ্রামের মানুষের ক্ষোভের অবসান করতে শাসক অথবা বিরোধীদল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে দিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!