বিডিও পেটানো 3 “রাঘববোয়াল” তৃণমূল নেতাকে আড়াল করতেই কি গ্রেপ্তার 3 “চুনোপুটি”? উঠছে প্রশ্ন নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 9, 2019 লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ তো চলছিলই, কিন্তু তার সাথে এবার প্রশাসনিক আধিকারিকের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হল রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি সন্দেশখালী 2 ব্লকের বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য্যকে প্রবল মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ নিজের অফিসে শাসকদলের নেতা কর্মীদের দ্বারা বেধড়ক মার খেয়ে রক্তাক্ত হন সন্দেশখালি 2 ব্লকের বিডিও। আর এরপরই এই ঘটনায় বেড়মজুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক এবং সন্দেশখালি 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাফসের আলী মোল্লার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরিফুল মোল্লা, মনিরুল নস্কর এবং আলকেস মোল্লাকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এইখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, যারা মূল অভিযুক্ত হিসেবে বিডিওর প্রতি আঘাত হানল, তাদের গ্রেপ্তার না করে কেন চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করা হল! সমালোচকদের দাবি, আসলে যারা মূল অভিযুক্ত, তারা তৃণমূলের অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতা। তাই তাদেরকে গ্রেফতার করলে শাসকদলের মুখ পুড়তে পারে সেই আশঙ্কাতেই চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে এই ঘটনায় রাশ টানল প্রশাসন। তবে এদিন এই প্রসঙ্গে বসিরহাটের পুলিশ সুপার শবরী রাজকুমার বলেন, “যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা ঘটনার সময় সেই স্পটে ছিলেন। তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।” স্থানীয়রা বলছেন, শাসকের পরিবর্তন হয়, শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, কিন্তু হিংসাত্মক পরিস্থিতির কখনও বদল হয় না। আর তাই সেই ঘটনার রেশ এসে পড়েছে সন্দেশখালি 2 ব্লকের বিডিওকে হেনস্থার ঘটনায়। আপনার মতামত জানান -