এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সৌমিত্রকে আক্রমণ দিলীপের, দুই সভাপতির দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি!

ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সৌমিত্রকে আক্রমণ দিলীপের, দুই সভাপতির দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের দিন রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর এরপরই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য বিজেপিতে। পরবর্তীতে অবশ্য সন্ধের মধ্যে নিজের ইস্তফা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়ে দেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়ার পর সরাসরি বিজেপি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেছিলেন সৌমিত্রবাবু।অর্থাৎ তার সঙ্গে যে দলের মূল সংগঠনের নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছে, তা সৌমিত্র খাঁ-এর কথার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির মত সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলাপরায়ন দলের উঁচুতলাতেও যেভাবে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তা দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল। আর এবার যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যার জেরে সংগঠনের দুই শীর্ষ পদাধিকারীর দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসায় এখন রীতিমত চাপে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ-এর পক্ষ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে আবার যেভাবে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যুব নেতা তো! তাই এই ধরনের অর্বাচীন কাজ করাটা স্বাভাবিক বিজেপিতে এসেছেন। বুঝতে সময় লাগছে। বুঝে যাবেন। প্রথম প্রথম ছোটদের দোষ মাফ করে দিই আমরা। কারও যদি বয়সের সঙ্গে পরিপক্কতা না আসে, তার ব্যবস্থা দলে আছে। সব ব্যবস্থা হবে। পাগলামির একটা সীমা থাকে। দলের জন্য কেউ অপরিহার্য নয়। এরকম চলতে থাকলে দল ছেড়ে দেবে। সমাজও একদিন তাকে ছেড়ে দেবে‌। রাজনীতিতে জোকারদের গুরুত্ব থাকে সবসময়। কিন্তু নিজের ওজন কমানোর ঠিক নয়। তাকে দল যে মর্যাদা দিয়েছে, তা রক্ষা করা উচিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ ‘অর্বাচীন’ ‘পাগল’ এবং ‘জোকার’ বলে নাম না করে সৌমিত্রবাবুকে কটাক্ষ করলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার জেরে আগামী দিনেও যে এই দ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৌমিত্রবাবুর দূরত্ব যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, তাও প্রমাণিত বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই নীচুতলায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু যেভাবে ওপরতলায় দুই নেতার মধ্যে বাদানুবাদ এবং তরজা সামনে এল, তা কার্যত নজিরবিহীন।

বিজেপি সব সময় নিজেদের শৃঙ্খলাপরায়ন দল বলে আখ্যা দেয়। কিন্তু সেই দলেও যখন এই রকম ঘটনা ঘটছে, তখন বিজেপির বিরুদ্ধে যে তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাভঙ্গের বড় হাতিয়ার পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে দিলীপ ঘোষ যেভাবে সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে আগামী দিনে সৌমিত্রবাবুকে চাপে রাখতে তিনি যে বড় কোনো পদক্ষেপ নেবেন, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দিলীপ ঘোষ এবং সৌমিত্র খাঁ-এর এই দ্বন্দ্ব বিজেপিকে কতটা চাপে রাখে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!