ভারত চীন সীমান্তে আহত জওয়ানের ছবি প্রকাশ প্রখ্যাত সমাজকর্মীর, ছবির সত্যতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন আন্তর্জাতিক জাতীয় June 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লাদাখে ভারত চীন সীমান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই যথেষ্ট গুরুতর। সর্বস্তরে দেখা হচ্ছে, কিভাবে এই বিষয়টি সামলানো যায়। অন্যদিকে দীর্ঘ 45 বছর পর সীমান্তে ভারত চীন সংঘর্ষে দেশের মাটিতে কুড়ি জন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছেন। আর তারপর থেকেই চীনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দেশের সেনা জওয়ানরা। অন্যদিকে চীনের প্রতি মুহূর্তে সমগ্র স্তরে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে আপামর ভারতবাসী। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কিছু মানুষ এমন আছেন, যারা নিজেরা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে চলেছেন। ঠিক এরকমই একজন মানুষ হলেন কংগ্রেস ঘেঁষা সমাজকর্মী ডঃ আনন্দ রাই। সম্প্রতি এই সমাজকর্মী ডঃ আনন্দ রাই শনিবার একজন আহত জওয়ানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এবং বলেন, এই সেনা নাকি গলওয়ানে চীনাদের হাতে মার খেয়েছে। এই ছবিটি শেয়ার করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ডঃ আনন্দ রাই, কেন জওয়ানদের হাতিয়ার নিয়ে যাওয়ার জন্য সীমান্তে বারণ করা হয়েছে? তবে প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এই ছবির আসল তথ্য খুঁজে বার করেছে। জানা গেছে, ডঃ আনন্দ রাই যে ছবি শেয়ার করেছেন, তা আসলে চার বছরের পুরনো এবং সব থেকে বড় কথা এটি কোন আহত ভারতীয় জওয়ানের নয়। সূত্রের খবর, 2016 সালের একটি ব্লগে এ ধরনের ছবি ছাপা হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় সেনাদের কড়া প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানেই এই ছবিটি ছিল। তবে ছবি সংক্রান্ত এ ধরনের ভুল তথ্য ডঃ আনন্দ রাই প্রথম প্রকাশ করেননি। এর আগেও এ ধরনের একটি ছবি তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে একটি ছবি নিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার শুরু করেছিলেন ডঃ আনন্দ রাই। সেই ছবিতে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিত নামক একজন সাধুর আশ্রমে গিয়েছিলেন। আর সেই সাধুর বিরুদ্ধে যৌন অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল এবং স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি স্মৃতি ইরানিকে বদনাম করার জন্য এ ধরনের ছবি প্রকাশ করেছিলেন। উল্লেখ্য, ডঃ আনন্দ রাই 2018 সালে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও দল থেকে তাকে কোনমতেই টিকিট দেওয়া কথা বিবেচনা করেনি। তবে কংগ্রেসের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে ডঃ আনন্দ রাইয়ের সুসম্পর্ক আছে সে কথা প্রমাণিত। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সমাজকর্মী হয়ে ডঃ আনন্দ রাই যেভাবে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রেখে একটি ছবিকে নিয়ে জল ঘোলা শুরু করেছিলেন, তা যথেষ্ট নিন্দনীয়। এই মুহূর্তে এমনিতেই ভারতের পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাময়। ডঃ আনন্দ রাইয়ের এই ছবিটি বহুলভাবে প্রচার পেলে সাধারণ মানুষের মনে অন্য প্রভাব পড়তে পারত। তবে পুরো ব্যাপারটি যে আগেভাগেই ফাঁস হয়ে গেছে তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সবাই। আপনার মতামত জানান -