এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >  “ভারত” নিয়ে কতই না আপত্তি! শেষমেষ সেই দিল্লির শরনাপন্ন মমতা! বিচিত্র রাজনীতি!

 “ভারত” নিয়ে কতই না আপত্তি! শেষমেষ সেই দিল্লির শরনাপন্ন মমতা! বিচিত্র রাজনীতি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  জি-20 সম্মেলনের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে একটি চিঠি সকলকে পাঠানো হয়েছিল। আর তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিতর্ক। “প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার” জায়গায় কেন “প্রেসিডেন্ট অফ ভারত” লেখা হয়েছে, তা নিয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নেতা-নেত্রীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। সুরে সুর মিলিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে যে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে এত বিতর্ক, এত প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধী নেতা নেত্রীরা, এবার সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই দিল্লি যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যা দেখে অনেকে বলছেন, সত্যিই কি বিচিত্র এই রাজনীতি!

প্রসঙ্গত, জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের জন্য আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সকল রাষ্ট্রনায়ক সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের শীর্ষস্থানের নেতা নেত্রীদের। আর তাতেই সারা দিয়ে আগামী শনিবার দিল্লিতে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার এই দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে কোনো প্রশ্ন তুলছেন না বিরোধীরা। তারা শুধু একটা কথাই বলছেন যে, আমন্ত্রণপত্রে ভারত কেন লেখা হল, কেন দেশের নাম বদল করা হলো, তা নিয়ে কতই না প্রশ্ন করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই আমন্ত্রনেই সাড়া দিয়ে তিনি এখন দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন।

বিরোধীদের দাবি, সব ব্যাপারে রাজনীতি করতে বড়ই বেশি ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথায় কথায় বিরোধীদের দোষারোপ করা ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই। দেশের নাম ভারত হলে কেন তার আপত্তি! এটা তিনি স্পষ্ট করতে পারেনি। শুধুমাত্র সেই আমন্ত্রণ পত্রে কেন ভারত লেখা হয়েছে, তা নিয়ে নিজের “ভারত” বিরোধী মনোভাবকে তুলে ধরে আরও বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার সেই “ভারত” লেখা আমন্ত্রণপত্রে সারা দিয়েই তিনি দিল্লির শরণাপন্ন হচ্ছেন। তাই এই ঘটনা বিচিত্র ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয় বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে রাষ্ট্রপতি ভবনের এত বড় নৈশ্যভোজে উপস্থিত হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। সেটা নিয়ে কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, তাহলে তারা অত্যন্ত অনুচিত কাজ করবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোঝা উচিত, দেশের স্বার্থে যদি “ভারত” নামকরণ করা হয়, তাহলে তার তো কোনো অসুবিধা হবে না। কিন্তু তারপরেও শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য কার্ডে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে যাচ্ছে তাই ভাবে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি এখন সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়াতে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, যে আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে এত প্রশ্ন তুললেন দিদিমণি, এবার সেই আমন্ত্রণপত্র হাতে ধরেই তাকে দিল্লি আসতে হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!