ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে বিজ্ঞাপন দিল তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর,জোর বিতর্ক রাজ্য জুড়ে রাজ্য September 16, 2018 দুর্নীতিমূলক তোলাবাজি কান্ডে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের নামে মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চর্চায় আছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে । আদালতেও এই মামলার জল গড়িয়েছে বহুদূর। এবার সেই মামলাকেন্দ্রিক বিতর্ককে আরো একটু উসকে দিয়ে প্রকাশ্যে এল নয়া খবর। সম্পূর্ণ বেনজির ভাবে ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিল তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর। বিজ্ঞাপনে পলাতক হিসাবে ভারতী ঘোষের ছবি দিয়ে তাকে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত সেশন বিচারকের এজলাসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এ বিজ্ঞাপন সামনে আসায় ফের হইচই পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিমহলে। কারণ সাধারণত প্রশাসনের ভালো কাজের খতিয়ানই তুলে ধরে এই দপ্তর। দফায় দফায় প্রশ্ন উঠছে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়ার অধিকার আছে কি? গোয়েন্দা বিভাগ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা যতোই তাঁর বিরুদ্ধে স্টেপ নিক না কেন,চুপ করে বসে নেই ভারতী ঘোষও। খুন শীঘ্রই তিনি তাঁর সম্পত্তি নিয়ে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইডি এবং ইনকাম ট্যাক্সের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করতে চলেছেন। এমনটাই একটি অডিও বার্তায় জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়া তাঁর স্বামী এমভি রাজুর উপরেও অকথ্য পুলিশি নির্যাতন চলছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সিআইডিকে দেখে নেওয়ার শাসানিও দিয়েছিলেন তিনি। এ যেন শতরঞ্জের মজাদার খেলা! একদিকে সিআইডি,অন্যদিকে ভারতী ঘোষ। দু পক্ষের আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে কোনো এক হিন্দি অ্যাকসান চলচিত্রের চিত্রপটই মনে করায়। তবে তা নিয়ে বিশেষ ভাবিত নয় সিআইডি। তাঁদের বক্তব্য,”আগে উনি এই নথি আদালতে পেশ করুন। তারপর দেখা যাবে কী হয়।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত,ভারতী ঘোষ মামলার তদন্তে নেমার পর অভিযোগে বারবার উঠে এসেছে তোলাবাজির কালো টাকা দিয়েই ভারতীদেবী মাদুরদহের জমিটি কিনেছেন,তৈরি করেছেন তিন তলা বাড়িটি। জমিটির খতিয়ান নম্বর ১৩০ এবং দাগ নম্বর ৪১। নথি প্রকাশ করে ভারতী ঘোষ দাবী করেন,২০১০ সালে DSP (IB) পোস্টিং-এ থাকাকালীন সেসময় তিনি ডেপুটেশন রাষ্ট্রপুু্ঞ্জের হয়ে সোমালিয়ার কর্মরত ছিলেন। এসব এই সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও আদালতে তথ্য গোপন করে বিচারককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সিআইডি। ভারতী ঘোষ এই সংক্রান্ত দাবীর পরও তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে সিআইডি কর্মকর্তারা। তারপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি ভারতী দেবীর। আদালতে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এরপরই এদিন পশ্চিমবঙ্গে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর তাঁর হুলিয়া জারি করে বিজ্ঞাপন দিলে শোরগোল পড়ে যায়। আপনার মতামত জানান -