পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি৷ আবার এদিন আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা করেছে জারি করেছে। আর এবার গোপন আস্তানা থেকে বোমা ফাটালেন ভারতীদেবী।তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করে বললেন, ‘‘শাসকদল সমস্ত রাষ্ট্রশক্তি আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে৷’’ নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘‘কে একটা লেলিয়ে দিল! কুকুরের মতো আমার পিছনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন৷’’ পাশাপাশি তিনি যে এতটুকুও চিন্তিত নয় এই ব্যাপারে সে কথাও বলেছেন , ‘‘ভাবছেন, আমি আপনাদের ভয় পেয়ে গেছি? না! আমি আপনাদের ভয় পাই না৷ভারতবাসী দেখছে৷ তাঁরাই শেষ বিচার করবেন৷আমার নামে কেস করা হচ্ছে ? ফলস কেস? একটা ইন্টারন্যাশনাল গরু স্মাগলারকে দিয়ে?আদালতে যাব৷ আদালতেই দেখা হবে৷’’তিনি আরো জানান যে,‘‘আমার ইমেজ টার্গেট করছে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে এবং যেকোনও প্রকারে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে৷আপনারা কোনওদিন শুনেছেন যে যাঁর বাড়ি থেকে টাকা বেরোয়, তাঁকে ধরা হয় না? সিআইডি মাদুরদহের ফ্ল্যাট থেকে এতো টাকা বের করলো৷ সেগুলো তো আমার বাড়ি থেকে নয়, কিন্তু সিআইডি তা তো বলেনি, মিডিয়াকে মিসগাইড করেছে। যার বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গেল তার নাম কি চক্রবর্তী, তাঁকে ধরেনি, উলটে তাঁকে দিয়ে একটা ফলস কেস করা হল! আমার স্বামী নাকি তাঁকে ভয় দেখিয়েছে টাকা রেখেছিল?’’আরো বলেন ,”আচ্ছা, আপনাকে যদি ভয় দেখায় তাহলে আপনি সেদিনই কেন কমপ্লেন করলেন না? সিআইডি ওখানে তো ফার্স্ট ফেব্রুয়ারি থেকে বসে আছে৷ তখনই বা সিআইডিকে জানালেন না কেন?যখন টাকা বের করলো টেনে তখন আপনার নামে আর কেস হল না, আপনি বলে দিলেন অন্য লোকে আপনাকে রাখতে দিয়েছে!পৃথিবীর কোথাও এই নিয়ম রয়েছে? সিআইডি আমার বাড়ি থেকে যে জমি ও বাড়ির দলিল নিয়ে গিয়েছে তার ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করা আছে৷ প্রত্যেকটা বৈধ জিনিস৷ আপনারা প্রেসের সামনে আসুন৷ একটা দলিল দেখান, যেটা অবৈধ৷ সেই সৎ সাহস সিআইডির আছে৷’’যদিও এই অডিও বার্তার সত্যতা প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফে যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি, কিন্তু বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে এই অডিও বার্তা ভারতী ঘোষেরই। এই প্রবন্ধ কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।