এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদী মন্ত্রীসভার সম্পসারণের হাত ধরে কি রাজ্যে আবার পুরনো জায়গায় ফিরবে বিজেপি? জল্পনা তুঙ্গে

মোদী মন্ত্রীসভার সম্পসারণের হাত ধরে কি রাজ্যে আবার পুরনো জায়গায় ফিরবে বিজেপি? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ কষেই যে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ করেছেন, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের। কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই এই রদবদল করলেন তাও এক প্রকার অনস্বীকার্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বাংলা থেকে দুই প্রতিমন্ত্রী হারিয়েছে এবার রাজ্য। আবার 2 এর বদলে 4 জন প্রতিমন্ত্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে এই চারজনই যে বিভিন্ন সমীকরণের হাত ধরে মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন তা বলাইবাহুল্য। কার্যত উত্তরবঙ্গের একুশের বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির ভালো ফল করার দরুণ নিশীথ প্রামাণিক পেয়েছেন মোদির মন্ত্রীসভায় জায়গা।

একইভাবে মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লি দরবারে। পাশাপাশি রাজবংশীদের কথা চিন্তা করে যেমন জন বার্লাকে মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আরএসএসের কথা মাথায় রেখে সুভাষ সরকারকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও অন্য আশঙ্কা রাজ্য বিজেপির অন্দরে। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে প্রশ্ন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, সেই ভরাডুবির হাত থেকে কি নিস্তার মিলবে 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, 2024 এখনও দূর। তার আগেই রাজ্যে আছে তিনটি বড় নির্বাচন। প্রথমত সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচন, এরপর পুরসভা নির্বাচন এবং তারপর উল্লেখযোগ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন।

আর এখানেই পরীক্ষা দিতে হবে চার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে। এই পরীক্ষায় যদি আশানুরূপ ফল না হয়, তাহলে কিন্তু আজকে যারা বাংলা থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদেরকে কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব মন্ত্রীসভা থেকে খারিজ করে দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য বোধ করবেনা। এবং তার জ্বলন্ত উদাহরণ চোখের সামনেই রয়েছেন- বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। বিজেপির মধ্যে আগামী দিনের জয় নিয়ে আড়াআড়ি দুটি ভাগ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি ভাগ অবশ্য বিধানসভা নির্বাচনে 200 আসনে জেতার মতোই এখনো বলে চলেছেন লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় হবে বিজেপির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু অন্যভাগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অত্যন্ত সাবধানী মনোভাব নিয়ে তাঁরাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপি ফিরে আসতে পারবেতো? বাংলায় 21 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কিন্তু অন্য কথা বলছে। কার্যত 2019 এ বিজেপি যে সাফল্য পেয়েছিল লোকসভা নির্বাচনে, সেই সাফল্যের অনেকটাই হারিয়েছে তাঁরা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। মাত্র দু’বছরের মধ্যে যে আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, তা বোধহয় নিজেরাও বুঝতে পারেনি গেরুয়া শিবির।

এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরে দেখা যাচ্ছে 2019 এ বিজেপির জেতা 18 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল 11 টি কেন্দ্রে লিড নিয়ে বসে আছে। অন্যদিকে অবশ্য বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে মাত্র 9 টি লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে। আর এখানেই আশঙ্কা। এমনিতেই বিধানসভা নির্বাচনের উত্তর পর্ব থেকে গেরুয়া শিবিরে চলছে ভাঙন পর্ব। সাংগঠনিক শক্তি প্রায় তলানিতে। প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থায় বিজেপির জনভিত্তি আবার কি ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে? মাত্র তিন বছর হাতে সময়।

সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে স্থান পাচ্ছেন একুশের নির্বাচনের হাত ধরে, সেখানে যদি বাংলার মানুষ তাঁদের মনোভাব বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢেলে ভোট দেন তাহলে পুরো ছবি পাল্টে যাবে। আর এই নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কার্যত আশঙ্কার দোলাচলে এই মুহূর্তে রাজ্য গেরুয়া শিবির। আপাতত দেখার, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই অবস্থায় নতুন কোন চিন্তাভাবনা কাজে লাগান কিনা! পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা মোদির ভাবনা সফল করতে রাজ্যে কতটা কার্যকরী ক্ষমতা দেখাতে পারেন সেদিকেও নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!