বিজেপির ঈর্ষার কারণ ফাঁস করলেন পার্থ, জেনে নিন! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল-বিজেপি তরজা বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল বনাম বিরোধীদলের ঘর ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কে কোন দলের নেতাকে নিজেদের দিকে টানতে পারে, তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দল চেষ্টা করছে, কেন্দ্রে এবং রাজ্যে তাদের যে সরকার রয়েছে, তার ব্যাপারে প্রচার করার। ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। যার পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এবার সরকার যমের দুয়ারে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে “দুয়ারে সরকার” কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যাকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুয়ারে সরকার কর্মসূচি দেখে বিজেপির ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ছে।” একাংশ বলছেন, বর্তমানে বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অনুন্নয়নের সরব হচ্ছে। রাজ্যে আসতে শুরু করেছেন কেন্দ্রের একের পর এক হেভিওয়েট নেতারা। যারা রাজ্যে তৃণমূলের ঘর ভাঙ্গানো থেকে শুরু করে শাসকদলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করে এই ধরনের মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিল বলেই দাবি করছেন একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে তৃণমূল আরও বেশি করে জনসংযোগ করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ শুনে তা নিরসন করা এই কর্মসূচির প্রধান অঙ্গ। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে জনতার সঙ্গে মিশে গিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংককে শক্ত করাই যে এই কর্মসূচির অন্যতম কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে লাগাতার কটাক্ষ করতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু এদিন বিজেপির সেই কটাক্ষের জবাব দিয়েই বিজেপি ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছে বলে দাবি করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই পার্থবাবুর এই ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -