এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট বড় বালাই, টক ঝাল সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে এক মঞ্চে দুই হেভিওয়েট !

ভোট বড় বালাই, টক ঝাল সম্পর্ককে দূরে সরিয়ে এক মঞ্চে দুই হেভিওয়েট !

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে জঙ্গিপুর পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের দীর্ঘকালের বিবাদ। কিন্তু সামনে এগিয়ে এসেছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। এ সময় দলের হেভিওয়েটদের নিজেদের বিবাদ মিটিয়ে নেবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এরপর জঙ্গিপুর পুরসভার পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করে পিকে টিম। জানানো হয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ মেটাতে না পারলে তাঁকে অপসারিত করে দেয়া হবে। এরপর ‘বঙ্গধ্বনি’র শোভাযাত্রায় মন্ত্রী জাকির হোসেন ও পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামকে একসঙ্গে যোগদান করতে দেখা গেল।

কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মন্ত্রী জাকির হোসেনের অনুগামীদের সঙ্গে পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামের অনুগামীদের একেবারে সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিল। বারবার তাদের মধ্যে বিরোধ বেধেছে। আবার দুই নেতার মধ্যে মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধ ছিল। জঙ্গিপুর শহরের পুর ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভার বিরুদ্ধে বারবার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। আবার নিজের লোক লাগিয়ে, অর্থব্যয় করে পুরসভার সাফাইয়ের কাজ করে পুরসভার ব্যর্থতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছিলেন এলাকাবাসীর।

মন্ত্রী ও পুর প্রশাসক দুজনেই দুজনের ডাকা দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতেন না। দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ ঘটেছে। মারামারি, হানাহানি, থানা-পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে বিরোধ মেটানোর জন্য বারবার সতর্ক করেও কোনো ফল হয়নি। এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছে যায়। কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকবার জঙ্গিপুরের প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামকে ফোন করেছিলেন পিকে টিমের সদস্যরা। ফোন করে জানিয়ে দেন, বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁকেও তাঁর দলবল সহ উপস্থিত থাকতে হবে। প্রথমে তিনি রাজি হননি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্দেশ মেনে নেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল শনিবার পুরসভার প্রশাসক মোজাহারুল ইসলাম জানালেন, ” কে বলল, ওঁর (জাকির) সঙ্গে আমার ঝগড়া। নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় সব অনুষ্ঠানে সকলে যোগ দিতে পারতাম না। পিকে টিমের ফোন তো নিয়মিতই আসে। দলের সকলেই চাইছিলেন, অনুষ্ঠানে আমরা যোগ দিই। তাই গিয়েছি। ” মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল মুখপাত্র গৌতম ঘোষ জানালেন যে, তাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল, কিন্তু এখন তো মিটে গেছে। মন্ত্রী জাকির হোসেন জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলকে শক্তিশালী করাই এখন তাঁদের লক্ষ্য।

কিন্তু তৃণমূলের জনৈক নেতা জানালেন যে, মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএম এর জোট বেশ কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তাই জঙ্গিপুর নিয়ে চিন্তা বেড়েছে শাসকদলের। আবার গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরে বিজেপি ভালো ফল করেছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতারা যদি নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তাহলে এই আসন জেতা আরো কঠিন হয়ে যাবে। এভাবেই পিকে টিমের নির্দেশে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ঐক্যবদ্ধ হলেন দুই বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা। যার ফলে হাসি চওড়া হল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!