এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক বাড়ছে, চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলের!

ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক বাড়ছে, চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে শাসকদলের!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে রাজ্যে অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে বিজেপির। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও ভালো ফললাভের লক্ষ্যে বিজেপির প্রস্তুতি তুঙ্গে। গত মাসে বঙ্গসফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা।আবার, চলতি মাসের শুরুতেই বঙ্গসফর করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁরা রাজ্য বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, সংগঠনকে মজবুত করতে ও অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে লোক আনতে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই কাজদুটি করছে কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে প্রতিমাসেই রাজ্যে আসার পরিকল্পনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদের সঙ্গেই বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করতে বিশেষ দায়িত্বে আছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত মালব্য, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা শিব প্রকাশ প্রমুখরা।

বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির সংগঠন যেমন অগ্রগতি করছে, তেমনি রাজ্যজুড়ে বাড়ছে বিজেপিতে যোগদান। এত বেশি মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছেন যে, বিভিন্ন জেলায় যোগদান মেলা করছেন বিজেপি নেতারা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যাচ্ছেন জেলায় জেলায়। নেতৃত্ব দিয়েছেন যোগদান মেলায়। এদিকে গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল। লোকসভা ভোটের নিরিখে বিচার করলে উত্তরবঙ্গের ৩৪ টি বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে আছে। বিজেপির উত্তরবঙ্গ জ়োনের পর্যবেক্ষক ও সেইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানালেন যে, লোকসভা ভোটের পরে এক বছরের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেকটা বেড়েছে। বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ আসনেই বিজেপি জয়লাভ করবে।

অন্যদিকে বিজেপি সূত্র থেকে জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, হুগলিতে দলের সংগঠন বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বিজেপি জয়লাভ করেছিল। এখনও জেলাগুলিতে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী ও জনপ্রিয় বলেই নেতৃত্বের দাবি। এই জেলাগুলিতে বিজেপির সভাতে ভিড় বাড়ছে। বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের যোগদান করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি শিবিরে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনে জয়লাভ করে রাজ্য সরকার গড়বে বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপিতে বাড়ছে যোগদানের হিড়িক, যার ফলে চিন্তা বাড়ছে শাসক দল তৃণমূলে। আবার শাসক দল তৃণমূল নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী দলের প্রতি বিমুখ হয়ে আছেন। দলের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে আছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। শাসক দল তৃণমূলে পিকের বাড়বাড়ন্ত অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যার ফায়দা তুলছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সংশয় বাড়ছে। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে বহু তৃণমূল কর্মী ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দাঁড়াতে চান না

তবে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং তৃণমূলে যোগদান করায় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি আসনে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি। এদিকে মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় দলের সংগঠন তেমন শক্তিশালী নয়। সেটাও মেনে নিয়েছেন অনেক। তবে, বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গতকাল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন টুইট করেছেন, ” তৃণমূল ডুবন্ত জাহাজ। মমতা রাজ্যের মতোই নিজেদের দলেও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসা এবং তোষণের রাজনীতির দীর্ঘ জমানার অবসান নিশ্চিত।”

তবে, বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেননের বক্তব্য মেনে নেয়নি শাসক শিবির। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা এ প্রসঙ্গে জানান, বাংলাকে যারা চেনেন না, তারাই এ ধরনের প্রলাপ বকতে পারেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের মানুষ মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করতে জানেন। এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন তাদের ভরসা। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। বিজেপি ক্রমশ নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!