এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিচারব্যবস্থায় আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল? সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হেভিওয়েট!

বিচারব্যবস্থায় আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল? সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হেভিওয়েট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেমনটা আশা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হল। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরেই কার্যত তরজায় জড়িয়ে পড়ল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপি। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিবিআইয়ের উপর তদন্তভার দেওয়ার কারণেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। যার পরে তৃণমূলের অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা হলেও স্পষ্ট আভাস এসেছে বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্যে। তিনি যে এই রায়ে খুশি নন এবং এর বিরুদ্ধে যে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তিনি। আর এবার গোটা বিষয়ে মন্তব্য করে সেই সৌগত রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা না রাখার অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই রায়দান করার পরেই তিনি এই রায়ে খুশি নন বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। আর তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে এই রায়কে স্বাগত জানানো হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে তাদের অভিযোগকে যে কিছুটা হলেও মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, সেই কথা জানিয়ে দেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে শমীকবাবু বলেন, “সৌগতবাবুর মত বিদগ্ধ রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। যদি রাজ্য মনে হয়, তারা আইনগত যেতেই পারে। কিন্তু অতীতেও দেখা গিয়েছে, সেই আইনি পথে গিয়ে তাদের কী পরিণতি হয়েছে। তাই সৌগতবাবুর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিচারব্যবস্থার প্রতি বিন্দুমাত্র ভরসা নেই। এটা গণতন্ত্র বা বিচারব্যবস্থার পক্ষে খুব একটা শুভ লক্ষণ নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের মতে, কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই রায়দান করার পর গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু এখন থেকেই যে এই গোটা বিষয় নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গেল, তা এককথায় পরিষ্কার। অনেকে বলছেন, সৌগত রায়ের মন্তব্যের পর বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে সৌগত রায়ের কথা মত যদি রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে নয়া সমীকরণ তৈরি হতে পারে। কিন্তু বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদের এই রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পরেই তাকে হাতিয়ার করে বিচার ব্যবস্থাকে অসম্মান করছে তৃণমূল বলে সরব হলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। যার ফলে শাসক শিবির কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!