এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের চিত্র ভিন্ন হলেও পাঁচ রাজ্যের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন চিত্র বিধান ভবন ও মুরলীধর সেন লেনে

রাজ্যের চিত্র ভিন্ন হলেও পাঁচ রাজ্যের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে ভিন্ন চিত্র বিধান ভবন ও মুরলীধর সেন লেনে


দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের প্রভাব অবশেষে পড়ল এই রাজ্যেও। যে জয় শ্রীরামের ধ্বনি দিয়ে সাম্প্রতিক কালে বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় তুলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা, গতকাল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে সেই বিজেপির রাজ্য সদরদপ্তর মুরলীধর সেন লেন যেন ছিল কার্যত থমথমে চেহারায়। সদ্য রথযাত্রা‌ বাতিলের পর এমনিতেই এই রাজ্যের গেরুয়া বাহিনীর সৈনিকেরা অনেকটাই বিধ্বস্ত। আর এদিন দেশের পাঁচ রাজ্যে দলের ভরাডুবির জেরে সেই ধাক্কা অনেকটাই খেতে হল বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের।

তবে বিজেপি পার্টি অফিস থমথমে চেহারা নিলেও এদিন রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবন ছিল উৎসবময়। রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন ধ্বসে পড়লেও গতকাল পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে যে, বেশ ভালো ফল করেছে সেই কংগ্রেস। আর পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তিন রাজ্যের জয়ের আনন্দ এবার বাংলাতেও নিয়ে এলেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানেরা।

সূত্রের খবর, গত কাল বিধান ভবনে কংগ্রেসের অনেক কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ ও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর ছবি নিয়ে সবুজ আবিরে মাখা মাখি করে প্রবল আনন্দ নেওয়ার চেষ্টা করে। আর কংগ্রেসের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে সেই সবুজ আবিরে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানেরাও।

তবে শুধু নিজেদের মধ্যেই বিজয় উল্লাস নয়, এদিন রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে পথচলতি মানুষের হাতে মিষ্টি বিলিয়ে রাহুল গান্ধীর নামে জয়ধ্বনি দেন রাজ্যের যুব কংগ্রেস কর্মীরা। জানা গেছে, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অনুগামীরা এদিন ধর্ম তলায় প্রবল বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছিল। কেন এই বিজয় উৎসব?

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এক বছর আগে এই দিনেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির আসনে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি সেদিন দেশে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। দেশবাসী তাতে সাড়া দিয়েছে বলেই তিন রাজ্যে বিজেপিকে হটিয়ে সেখানে ক্ষমতায় বসেছে কংগ্রেস।”

অন্যদিকে দেশের তিন রাজ্যের এই জয়কে গণতন্ত্রের রায় বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। পাশাপাশি ক্ষমতার ঔদ্ধত্যরই যে জবাব মানুষ দিয়েছে এদিন তা বলে পরোক্ষে বিজেপিকেই কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সদরদপ্তর বিধান ভবনে যখন উৎসবের পরিবেশ চলছে ঠিক তখনই রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেন কার্যত ফাঁকা চেহারা নিয়েছিল এদিন।

সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকেই দলীয় অফিসে বসে ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জয়প্রকাশ মজুমদাররা। পরে বেলা গড়ালে সেখানে আসেন রীতেশ তেওয়ারি এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু যে দিলীপ ঘোষের শরণাপন্ন বা সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য প্রতিদিন রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতেন অনেকেই নেতাকর্মী থেকে সাধারন মানুষ, সেই জায়গায় গতকাল ছিল অনেকটাই ফাঁকা। মাঝে অবস্থা এমন হয় যে, খুঁজে খুঁজে বাইরে থাকা দলের মিডিয়া কর্মীদের ডেকে নিয়ে কথা বলেন দীলিপবাবু।

তাহলে কি দেশের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর বাংলাতেও এই বিজেপির ওপর আস্থা হারাচ্ছে সাধারন মানুষ? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেকদিন পর কংগ্রেস লড়াই করে আমাদের কাছাকাছি এসেছে। এতে প্রমাণ হল, দেশে বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই কংগ্রেসের। বাকিরা গ্যালারিতে বসে লাফালাফি করবে। তবে সিবিআই কাউকেই ছেড়ে দেবে না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক মহলের মতে, যে যাই বলুন না কেন, দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যে এই রাজ্যের কিছুটা হলেও পড়েছে তা গতকাল প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবন এবং রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর লেনের চিত্র দেখলেই বোঝা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!