এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভায় মুকুল রায়ের বসা নিয়েও এবার বিতর্ক, কোন আসনে বসছেন তিনি?

বিধানসভায় মুকুল রায়ের বসা নিয়েও এবার বিতর্ক, কোন আসনে বসছেন তিনি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায়কে কোনদিনও রাজনৈতিক মঞ্চে প্রার্থী পদে লড়তে দেখা যায়নি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে তিনি লড়াইতে নামেন কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে। যদিও তাঁকে পর্যাপ্ত প্রচারে কখনই দেখা যায়নি। জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনি জিতে যান এবং তৃণমূলের কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন। এহেন মুকুল রায় এরপর রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য জাগিয়ে কিছুদিন আগেই তৃণমূলে চলে আসেন সপুত্র। যদিও তিনি খাতায়-কলমে এখনো পর্যন্ত বিজেপি বিধায়ক। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রায় উঠে পড়ে লেগেছেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য।

অন্যদিকে মুকুল রায় আগামী বিধানসভা অধিবেশনে থাকতে চলেছেন এবং যেহেতু তিনি এখনও বিজেপি বিধায়ক তাই বিরোধীদের আসনেই তিনি বসতে চলেছেন। আর এই খবর সামনে আসার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি মুকুল রায় কোন আসনে বসবেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেক্ষেত্রে সূত্রের খবর, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী যে 65 নম্বর আসনে বসতেন এবার সেই আসনটিতেই মুকুল রায়ের বসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যদিও এক্ষেত্রে স্পিকারের কাছে যদি আবেদন করা হয়, তাহলে বসার আসন পরিবর্তন হয়। কিন্তু মুকুল রায় এখনো পর্যন্ত স্পিকারের কাছে কোনো আবেদন জানাননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

65 নম্বর আসনটি বিরোধীদলের বর্ষীয়ান নেতার জন্যই বরাদ্দ থাকে। সেক্ষেত্রে গত মরসুমে যেমন সুজন চক্রবর্তী বসেছেন, এই মরসুমে বিরোধীদলের বর্ষীয়ান বিধায়ক মুকুল রায়ের জন্যই আসনটি বরাদ্দ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে সাবধানতা অবলম্বন করেই আসন বন্টন হবে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সমর্থন ছাড়াই কিন্তু পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন। খুব সম্ভবত ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যানও হতে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে।

পাশাপাশি সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই তাঁর বসা আসনটিতে মুকুল রায়ের বসা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল রায় এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের গলার কাঁটা হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। দলে থেকেও তিনি অন্য দলে যোগদান করেছেন। এদিকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি জায়গা পাচ্ছেন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে। সেক্ষেত্রে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কত দূর প্রয়োগ করা যাবে তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে। কারণ এক্ষেত্রে স্পীকারের সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ বলে মনে করা হয়। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে মুকুল রায় নামক অস্বস্তি তীব্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিন দিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!