এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খাবে শাসকশিবির? একযোগে সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন ২ হেভিওয়েট?

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খাবে শাসকশিবির? একযোগে সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন ২ হেভিওয়েট?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচন নিয়ে বিহারের সকল রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, ঠিক সেসময়ই বিহারের শাসক দল এনডিএ জোটের জন্য শোনা গেল লাগাতার দুঃসংবাদ। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে বেশ কিছু মতবিরোধের কারণে বিহারের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী শ্যাম রাজক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পরিচালিত জেডিইউ দল থেকে পদত্যাগ করলেন।

আর তারপরই তিনি যোগদান করলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি দলে। প্রসঙ্গত বিহারের শিলমন্ত্রী শ্যাম রাজক গত, ২০১৯ সালে আরজেডি ছেড়ে জেডিইউতে এসেছিলেন। আবার তিনি সামিল হলেন তাঁর পূর্বের দলে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শিল্পমন্ত্রীর এই দলত্যাগ নিঃসন্দেহে নীতীশ কুমারের কাছে একটি বিরাট ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এখানেই শেষ নয় সম্প্রতি লোক জনশক্তি দল জোটসঙ্গী এলজেপির সঙ্গে জেডিইউর সম্পর্ক প্রায় তলানিতে গিয়ে থেকেছে। লোক জনশক্তি দলের সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান একাধিক অভিযোগে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার পরিচালিত এনডিএ সরকারকে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিও তিনি যথেষ্ট বিখ্খুব্ধ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, হাওয়া মোরগ বলে পরিচিত লোক জনশক্তি পার্টির সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিশ কুমার নেতৃত্বাধীন এনডিএ সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি বিহারের রাজ্যপাল বিহার আইনসভা পরিষদে ১২ জনকে মনোনীত করেছেন, যাদের মধ্যে একজনও এলজেপির সদস্য নন।

আর বিষয়েই যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ এলজেপি। এই সমস্ত কারণে নিতিশ কুমার পরিচালিত এলজেপি সরকারের প্রতি নিজেদের সমর্থন তুলে দেয়ার পক্ষপাতি এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান। এভাবে একই সঙ্গে শিলমন্ত্রী শ্যাম রাজকের দলত্যাগ ও এলজেপি হাতছাড়া হওয়া একটি বিরাট বিপর্যয় এনডিএ সরকারের জন্যে। যার প্রভাব আগামী নির্বাচনে যথেষ্ট ভাবে পড়বে বলে মনে করছেন বিহারের রাজনীতি মহল।

তবে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জন্য আশার কথা একটাই যে, সম্প্রতি নীতীশ কুমারের বিরোধী মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির হাম দলটি। বিহারের রাজনীতিতে দলিত মানুষের মুখপাত্র বলে পরিচিত এলজেপি ও হাম দল দুটি।এই দুই দল সম্প্রতি নিজেদের জোট ত্যাগ করে বিহারের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে । সম্প্রীতি লালুপ্রসাদের নেতৃত্বাধীন আরজেডি জোট থেকে বেরিয়ে এসেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির হাম দল।

আর এর ফলে নীতীশ কুমার রাজনৈতিক সুবিধা লাভ করতে চলেছেন বলে মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল। হাম দলের মুখপাত্র ড্যানিশ রিজওয়ান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ” হাম আর মহাজোটের অংশীদার হবে না। তারা মহাগোটবন্ধন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ” এ বিষয়ে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, আগামীদিনে কোনো দলের সঙ্গেই জোট বেঁধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয় হাম দল। বরং তাঁরা পৃথকভাবেই নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেনরাম মাঝি আবার এনডিএ নেতৃত্বাধীন জোটের দিকেই পা বাড়াতে চলেছেন।

অন্যদিকে, জোটসঙ্গী এলজেপির জোটে ফেরার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ দেখেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেনরাম মাঝির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলবার জন্যে যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। রাম ভিলাস পাশওয়ানকে নিজের পক্ষে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, সে পরিস্থিতে দলিত জনগণের সমর্থন লাভ করতে অন্যতম বিহারের অপর দলিত দল বলে পরিচিত হতে চেয়েছেন হাম দলের হাত ধরতে উৎসুক নীতিশ কুমার, এমনটাই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!