এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের ফল ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে এখন থেকেই ঝাঁপালো তৃণমূল, গড় বাঁচাবে বিজেপি?

বিধানসভায় উত্তরবঙ্গের ফল ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে এখন থেকেই ঝাঁপালো তৃণমূল, গড় বাঁচাবে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই উত্তরবঙ্গের মাটি পুনরুদ্ধার করতে এবং নিজেদের দখলে জনমত আনতে ব্লুপ্রিন্ট সাজাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার শিলিগুড়িতে নতুন করে ময়দানে নামতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। জানা গেছে, শিলিগুড়িতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

যেখানে আগামী 10 থেকে 12 অক্টোবর পর্যন্ত এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কিভাবে প্রচার করতে হবে, তা তুলে ধরা হবে। এদিকে তৃণমূল যখন রাজনৈতিক কর্মী সভার মধ্যে দিয়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী, ঠিক তখনই নতুন কর্মকর্তা তৈরি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর দুই রাজনৈতিক দলের ভোট বাড়ানোর এই কৌশলে রীতিমত জমজমাট শিলিগুড়ি রাজনীতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় পদ্ম শিবির। তবে সামনে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। আর বিজেপি যখন সেই বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে উত্তরবঙ্গের মাটির শক্তিশালী করতে মরিয়া, ঠিক তখনই এবার ময়দানে নামতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, আগামী 10 অক্টোবর মাটিগাড়া নকশালবাড়ি, 11 অক্টোবর শিলিগুড়ি এবং 12 অক্টোবর ফাঁসিদেওয়া-খড়িবাড়িতে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথ রয়েছে 800 টি। আর প্রতি বুথ থেকে প্রায় 5 জন করে কর্মী তৃণমূলের এই রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হবে। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “দার্জিলিং জেলার সমতলে অর্থাৎ শিলিগুড়িতে দলের পূর্ণাঙ্গ জেলার মহকুমা ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি গঠিত হয়নি। তা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে দলকে আরও মজবুত করতে এই কর্মী সম্মেলন করা হচ্ছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “দলের জেলা সহ সর্বস্তরের কমিটি রাজ্য কমিটি ঠিক করবে। তার শীঘ্রই হবে বলে আশা করছি। তবে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই এই কর্মী সম্মেলন করা হচ্ছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষার সমান। যেখানে গত লোকসভায় বিজেপি একাধিক আসন দখল করেছিল, সেখানে উত্তরবঙ্গে আগামীদিনে গড় রক্ষা করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আর তাই শিলিগুড়ির মত জায়গায় বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে একদিকে বিজেপিকে কুপোকাত করা এবং অন্যদিকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করা, প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!