এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যাসাগরের পর এবার কানহো! মূর্তি ভাঙায় দলের নাম জড়াতেই তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির!

বিদ্যাসাগরের পর এবার কানহো! মূর্তি ভাঙায় দলের নাম জড়াতেই তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছর কলকাতায় অমিত শাহের পদযাত্রার সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। শাসক-বিরোধী তরজা এই ঘটনায় চরম আকার নেয়। আর এবার হুল দিবসের রাতে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর গ্রামে কানহোর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় এক বিজেপি কর্মীর নাম জড়ানোয় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে সাঁওতাল নায়ক সিধু এবং কানহুর মূর্তি কাদলাগোরা স্কুল চত্বরে বসানো হয়েছিল। প্রতি বছর হুল দিবসের দিন সেখানে সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠান করা হয়। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল থেকে কিছুটা দূরে সামাজিক দূরত্ব পালন করেই অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। ফলে সেভাবে স্কুল চত্বরে কোনো লোক ছিল না। তবে বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা দেখতে পান, সিধু কানুর মূর্তির মধ্যে কানহুর মূর্তি মাটিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আর এর পরেই গোটা ঘটনায় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বৈদ্যনাথ মান্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেলা কমিটির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, বৈদ্যনাথ মান্ডি বিজেপি করেন। যার ফলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনার পর এবার কানহুর মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিজেপি নেতা অভিযুক্ত হওয়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডুর স্বামী গুরুপদ টুডু বলেন, “বৈদ্যনাথ নিজে যে কানহুর মূর্তি ভেঙেছেন, সেকথা মেলা কমিটির ডাকা সভায় তিনি স্বীকার করেছেন। তবে কেন ভাঙলেন, তা কবুল করেননি।” যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গোটা ঘটনায় তাদের দলের বৈদ্যনাথ মান্ডি জড়িত নয়। তৃণমূল তাকে বলপূর্বক ফাঁসিয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “সিধু কানহুকে সাঁওতাল যুবকরা ভগবান মানেন। বৈদ্যনাথ এই ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মসূচিতে যুক্ত বলে তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের জেরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।” তবে বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই ঘটনায় বৈদ্যনাথ মান্ডিই জড়িত।

এদিকে এই প্রসঙ্গে মানবাজার মহকুমা অফিসার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নীলাঞ্জন তরফদার বলেন, “পুলিশকে আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যিই এই ঘটনায় বিজেপি নেতা বৈদ্যনাথ মান্ডি অভিযুক্ত হন, তাহলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর এবার কানহুর মূর্তি ভাঙার ঘটনাতেও ব্যাপক চাপে পড়তে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে তৃণমূলের পক্ষে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!