এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > Big Breaking, আবার উইকেট পতন তৃণমূলের। দল ছাড়ছেন হেভিওয়েট বিধায়ক

Big Breaking, আবার উইকেট পতন তৃণমূলের। দল ছাড়ছেন হেভিওয়েট বিধায়ক

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যেন তাসের ঘরের মতো অবস্থা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে দলের ভাঙ্গন কোনোভাবেই আর রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই দলের কোনো না কোনো হেভিওয়েট দল ত্যাগ করছেন। কোনদিন একাধিক দল নেতা-নেত্রী দল ত্যাগ করে দলের ভাঙ্গনের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ও তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত। গৌরী শঙ্কর দত্ত তৃণমূলের একেবারে সূচনা কাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন। দলের প্রতি তীব্র অভিমান থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

জানা যাচ্ছে, আজ বিকেলেই তিনি কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করতে চলেছেন বিজেপিতে। তবে, বিজেপিতে যোগদান করলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি গৌরী শঙ্কর বাবু। গত ১৯৯৮ সাল থেকে তৃনমূলের সূচনাকাল থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত গৌরী শঙ্কর বাবু। দুদশকেরও বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা ভাজন ছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত ২০১১ সালে তৃণমূল তাঁকে তেহট্ট থেকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু, সেবারে তাঁর সফলতা আসে নি। তবে ২০১৬ সালে তেহট্ট থেকে জয়লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে তেহট্ট থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। পরিবর্তে নিকটবর্তী বিধানসভা কেন্দ্র পলাশীপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহাকে প্রার্থী করা হয়েছে। এ ঘটনায় দলের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তবে, প্রার্থী না করার কারণে, যে তিনি দল ছাড়ছেন, তেমনটা নয়।

বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্ত জানিয়েছেন যে, ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে তিনি তৃণমূল করছেন। ৭ বছর তিনি নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদে ছিলেন। ৩ বছর রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর টিভিতে দেখে তিনি জানতে পারলেন যে, তাঁকে এবার প্রার্থী করা হয়নি। এই বিষয়টি তাঁর অত্যন্ত অসম্মানজনক লেগেছে।

তিনি জানান, প্রার্থী করা বা না করা, সমস্ত কিছু দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছুই তাঁকে জানানো হয়নি। এতদিন দল করার পর, দলের কাছে এমন ব্যবহারে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানের পর তেহট্ট থেকে কি তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দল করেছেন, তারা যখন তাঁকে এভাবে বাদ দিয়েছে। তাহলে যে দল তিনি ২০ কুড়ি মিনিটও ভালো করে করেন নি, সেখানে কিভাবে তিনি প্রার্থীপদের আশা করবেন? এভাবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে আবার একটি বড়সড় উইকেট পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অপর পক্ষে শ্রীবৃদ্ধি হতে চলেছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!