প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার দলে তাকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিজেপি ত্যাগ করলেন গুজরাটের বিজেপি সাংসদ মনসুখভাই ভাসভা। জানা গেছে, এদিন গুজরাটে বিজেপি সভাপতিকে চিঠি লিখে নিজের দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই গুজরাট বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আর সেখানে দলের হেভিওয়েট সাংসদের এইভাবে দলত্যাগ নিঃসন্দেহে শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।

বস্তুত, বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দখলে যে সমস্ত রাজ্য আছে, সেই রাজ্যের দখল নিতে বিজেপি বিরোধীদের ঘর ভাঙ্গার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি গুজরাটের এক বিজেপি সাংসদের গেরুয়া শিবিরের সংস্পর্শ ত্যাগ করা বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মনসুখভাই ভাসভা বিজেপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন।

অতীতে তিনবার লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। গত 2014 সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতেও দেখা যায় তাকে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তার সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। প্রকাশ্যে তিনি দলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করতে শুরু করেন। আর এবার সরাসরি দলত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেল তাকে। দলত্যাগ করা এই সাংসদের অভিযোগ ছিল, দলের অন্দরে তার কথাকে কোনোভাবেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই ধরনের মন্তব্যে অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

এমতাবস্তায় এই বিজেপি সাংসদের রাজনৈতিক গতিবিধির দিকে নজর রাখছিলেন সব পক্ষ। অবশেষে জল্পনায় সীলমোহর দিয়ে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করলেন মনসুখভাই ভাসভা। তবে দলত্যাগ করা এই নেতার পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিজেপি ত্যাগ করার পর তিনি নতুন কোনো দলে যোগ দেবেন কিনা, সেই ব্যাপারে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমতাবস্থায় গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।