প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ কারণেই বেশকিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তেমনি আনা হয়েছে ব্যাপক সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা হয়েছে। এরপর আরও ২০০ কোম্পানি আধাসেনা আসতে পারে রাজ্যে। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে নিরাপত্তা বিধান করা যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধান কর্তব্য, সেই সঙ্গে কেউ যদি ভোট দান কালে অসুবিধায় পড়েন, তবে তার সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসাও কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা ভোট দিতে এসে যদি কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে তাদের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নিরাপত্তা দেওয়া সহ, মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ। কিন্তু এই কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কেই একাধিক অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

আজ দুপুরে রাজ্যের প্রথম দু দফা নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছাল তৃণমূলের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল। আজ দুপুর দেড়টার সময় মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিকের অফিসে তৃণমূলের ৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছায়। যে দলে ছিলেন তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, নেত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন প্রমুখরা।

কমিশনের কাছে তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটকে প্রভাবিত করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ বিষয়ে কমিশনে পূর্বেও অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও, কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিরপেক্ষ নয় বলে, অভিযোগ করেছে তৃণমূল। অভিযুক্ত জওয়ানদের পরবর্তী দফার ভোটে মোতায়েন না করার দাবি জানানো হলো তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন বারবার চক্ষুশুল হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। বারবার তৃণমূলের বিরোধের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদেরকে। আজ দিনহাটার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই চালাচ্ছেন নির্বাচন কমিশন। তাই তাঁকে কমিশনের চেয়ারম্যান করে দেওয়ার কটাক্ষ করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় বিজেপি প্রার্থী নন্দীগ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, লোকসভায় জয়লাভের পর গুন্ডামি আর খুন ছাড়া আর কিছুই করেনি বিজেপি। এখন টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা করছে। তাঁকে দেখেও হুমকি দিয়েছে কেউ কেউ। অনেক পরিকল্পনা করেই ভোটের মুখে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।