প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঠিক যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী ব্যাট করেছিলেন, সেই একই কায়দায় ব্যাট করতে শুরু করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাকে কেন্দ্র করে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছিল। অবশেষে বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগে আজ বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

তবে দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন না হওয়ায় জল্পনা বাড়তে শুরু করে। যেখানে নেত্রীর প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, আজ বিকেল 4:30 মিনিটে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এই ব্যাপারে একটি পোস্ট করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “প্রিয় সহকর্মী এবং বন্ধুরা আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অবিলম্বে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য থেকে পদত্যাগ করলাম। আমার সময়কালে কিছু অসাধারণ মানুষ এবং মহান নেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। পরিশ্রম ও আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। আমার সকল সহকর্মীদের জন্য শুভকামনা রইল‌। আগামীর জন্য পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমাদের চেয়ারপার্সনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।”

আর বিধায়ক পদ থেকে সকালে ইস্তফা দেওয়ার পর বিকেলে দলের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে এবার ধীরে ধীরে বিজেপির ঘনিষ্ঠ হতে চলেছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই তাকে কেন্দ্র করে জল্পনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। তার মত হেভিওয়েট ব্যক্তি কি করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অবশেষে আজ সমস্ত বিষয় পরিষ্কার করে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

একাংশ বলছেন, ঠিক এই কায়দাতেই খেলতে শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে মন্ত্রী, তারপর বিধায়ক এবং শেষে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগে হাওড়া জেলার একাধিক হেভিওয়েট সহ তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। আর অমিত শাহের আসবার আগেই যেভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেললেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে তার বিজেপির পতাকা ধরা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে দলনেত্রীকে লেখা চিঠিতে তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেও, তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এখনও পর্যন্ত জল্পনা অব্যাহত। একাংশ তার বিজেপিতে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত বলে জানালেও, শেষ পর্যন্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি করেন! অমিত শাহের সভায় তিনি উপস্থিত থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নতুন ইনিংস শুরু করেন কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।