প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচিতে উপস্থিত হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পায়ে চোট লাগার পর হাসপাতাল থেকেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, হয়ত কিছুদিন তার অসুবিধে হবে। তাই হুইলচেয়ার করে তাকে সমস্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে হবে।

আর সেই মত করেই আজ নন্দীগ্রাম দিবসে হুইলচেয়ার করেই হাজরা সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইলচেয়ার করে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হতেই রীতিমত তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এবং লড়াই করার মানসিকতা আরও দ্বিগুন হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

বস্তুত, আজ নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে গান্ধী মূর্তি থেকে হাওড়া পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে পায়ে চোট লাগার কারণে চিকিৎসকরা তাকে সাবধানে থাকতে বলেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কিনা, তা নিয়ে দিনভর গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তবে যেহেতু নন্দীগ্রামে তিনি লড়াই করছেন, তাই শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপিকে জবাব দিতে যতই কষ্ট হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করেছিলেন একাংশ।

অবশেষে হাজরা সভায় হুইলচেয়ারে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে এই কর্মসূচি উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, হুইলচেয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে কার্যত বিরোধীদের গোল দিয়ে দিলেন। এককালে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস‌।

তবে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল আর নন্দীগ্রামে মনে রাখেনি বলে সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে শুরু করেছেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিকভাবেই জমে উঠেছে লড়াই। আর এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম দিবসে পায়ে চোট লাগলেও হুইলচেয়ার করে কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে রীতিমতো মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।