প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর নানা সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষদের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। রাজবংশী থেকে শুরু করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট মানুষদের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বর্তমান রাজ্য সরকার। আর এবার নির্বাচনের আগে পুরুলিয়ার আদিবাসীদের জন্য রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আদিবাসী সমাজের মধ্যে ব্যাপক খুশির জোয়ার তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, আজ পুরুলিয়ার হুটমুরা এলাকায় একটি জনসভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভা থেকেই রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লালগড়ে সেতু তৈরি করা হয়েছে। ওটা রঘুনাথ মুর্মুর নামে। আর এবার রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনেও রাজ্যে ছুটি থাকবে।”

স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। অনেকে বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের ফলাফল ভালো হয়নি। সেখানে ব্যাপকভাবে উত্থান ঘটতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার আদিবাসী সমাজের মন পেতে রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিবসে সেখানকার মানুষের আবেগ নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, অতীতে রাজবংশীদের জন্য এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কোচবিহারের রাজবংশী সমাজের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার পুরুলিয়ার জনসভা থেকে রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে দিয়ে আদিবাসী সমাজের মনে জোয়ার আনার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় আদিবাসী সমাজ কতটা খুশি হয় এবং তার প্রভাব ভোটবাক্সে কতটা প্রতিফলিত হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।