দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা! একুশে বাংলায় হতে চলেছে বড়সড় ‘পরিবর্তন’- জানাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই! কলকাতা তৃণমূল বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য June 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সব কিছু ঠিক থাকলে বাংলায় ২০২১-সালের মধ্যে হতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন আর তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই। এতদূর পরেই চমকে উঠেছেন নিশ্চয়! হ্যাঁ, পরিবর্তনের কথায় হচ্ছে – তবে তা গেরুয়া শিবিরের দাবি মত ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ নয়। এই পরিবর্তন আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তব রূপ। এই পরিবর্তন আসলে তিলোত্তমা কলকাতার দূষণ কম করতে আমাদের, দৈনন্দিন চলার পথের পরিবর্তন। ভূমিকা ছেড়ে এবার আসল কথায় আসা যাক। কথায় আছে, বাংলা আজ যা করে দেখায়, গোটা বিশ্ব আগামীকাল তা ভাবে। সেক্ষেত্রে ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, জার্মানি সবাই এই কাজে উত্তীর্ণ হলেও, কেন বাংলা তা পারবে না! ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকে লন্ডন বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মত নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর অন্যতম স্বপ্ন ছিল, লন্ডন বা ওয়াশিংটনের মত কলকাতাতেও “সাইকেল বে” তৈরি করা হবে। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন হয়ত বা বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। জানা গেছে, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী 2021 সালে কলকাতার রাজপথে চলবে সাইকেল। যেখানে পরিবেশ বান্ধব এই যানের জন্য পৃথক লেন থাকবে। করোনা সংক্রমণ যাতে এড়ানো যায়, তার জন্য পরিবেশবান্ধব এই উদ্যোগ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আলাদা সাইক্লিং রোডের ম্যাপ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কেএমডিএ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমেরিকার একটি সমীক্ষার তরফে জানানো হয়েছে, 2016 সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতি সপ্তাহে সাইকেল আরোহীর সংখ্যা 17 হাজারের মত। নিউইয়ার্কে ছিল 40 হাজারেরও বেশি। আরও বেশ কয়েকটি শহরে এই প্রথা রয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের পর সেই প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। আর এতদিন কলকাতাতে তা করার ইচ্ছা থাকলেও, করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তবে এবার হয়ত বা সেই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতাও। জানা গেছে, সম্প্রতি এই ব্যাপারে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। যেখানে সমীক্ষার পর কনসালটেন্সি এজেন্সি এর জন্য তৈরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করবে। আর সেখানেই ঠিক হবে যে, ঠিক কত মানুষ সাইকেলে চেপে শহরে ঢুকতে পারবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের বেশিরভাগ রাস্তা খুব একটা চওড়া নয়। তাই সমস্ত দিক ভেবে চিন্তেই ম্যাপ তৈরির কাজ করতে হবে। পার্কিং এলাকা ব্যবহার করে করিডোর বানানো যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই প্রকল্প তৈরিতে মোট খরচ হবে 34 লক্ষ টাকা। বস্তুত, কলকাতার নিউটাউনে সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট ট্র্যাক করা রয়েছে। কিন্তু গোটা কলকাতা শহরে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে শুধুমাত্র সাইকেলের জন্য রাস্তা করা আছে। তবে এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ায় নতুন দুয়ার খুলে যাবে বলে মনে করছেন সকলে। একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন ছিল, এই উদ্যোগ নেওয়ার। ফলে এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অন্যদিকে বিদেশে সাইকেলের জন্য আলাদা রোড থাকায় এবার তা কলকাতাতে হওয়ায় কলকাতার চেহারা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেই আশা করছেন সকলে। সব মিলিয়ে কবে রোডম্যাপ তৈরি হয় এবং কবে পাকাপাকিভাবে সাইকেলের জন্য পৃথক রাস্তা সূচনা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -