এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত, ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময়

বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত, ঘোষণা হতে পারে যে কোন সময়


মাস কয়েক আগে হঠাৎই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়ে পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বদল নিয়ে। যদিও সেই সময় দিল্লিতে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় – যেহেতু সামনেই লোকসভা নির্বাচন তাই, সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হল। কিন্তু, সেই বৈঠকে রাজ্য সভাপতিদের নিয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু জানান হয় নি।

কিন্তু, দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যেহেতু সর্বভারতীয় সভাপতি বদল হচ্ছে না, তাই রাজ্য সভাপতিও বদল হচ্ছে না। তিনিই আরও অন্তত এক বছরের জন্য রাজ্য সভাপতি থেকে যাচ্ছেন। আর এরপর তাঁর কথাকেই মান্যতা দিয়ে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য হয় নি।

কিন্তু, সম্প্রতি আবার নতুন করে জল্পনা ছড়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম নিয়ে। বিশেষ করে দিল্লিতে রাজ্যের প্রায় সব শীর্ষ নেতাকে অমিত শাহ ডেকে পাঠানোর পর সেই জল্পনা আরও গতি পায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে মূলত চতুর্মূখী লড়াই।

দিলীপ ঘোষকেই আরও একবছর রাজ্য সভাপতি রেখে দিতে চান এক পক্ষ। কিন্তু, এর সরাসরি বিরোধিতা করেন চন্দ্রকুমার বসু। তিনি জানান, দিলীপবাবু মাঝেমাঝেই যে ধরনের বক্তব্য বিভিন্ন জনসভায় রাখছেন তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত সমাজ মোটেই পছন্দ করছেন না এই ধরনের কথাবার্তা। প্রয়োজনে তিনিও রাজ্য সভাপতির দায়িত্ত্ব নিতে তৈরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, সঙ্ঘের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন আশিস সরকারের নামও উঠে আসে প্রবলভাবে। সঙ্ঘের এক শক্তিশালী লবি নাকি তাঁর নাম নিয়ে জোড়ালো সওয়াল করেন। অপরদিকে, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নাকি সরাসরি মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাব করেন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ নাকি আলাদাভাবে কথা বলেন মুকুল রায় ও রাহুল সিনহার সঙ্গে।

রাহুল সিনহা জানান, তিনি বাংলায় বিজেপির সংগঠন বিস্তারের যে কাজ জেলায় জেলায় শুরু করেছিলেন দিলীপবাবু সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সভাপতিত্ত্বে প্রতিটি নির্বাচনেই বিজেপি আগের থেকে ভালো ফল করেছে। সুতরাং, দিলীপবাবুই রাজ্য সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যান।

অন্যদিকে, মুকুল রায় জানান, বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সভাপতি বদল হলে তার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। তাছাড়া নতুন যিনিই দায়িত্ত্ব নিন, তিনি সবকিছু স্থায়ী করতে করতেই লোকসভা নির্বাচন এসে পড়বে। তাছাড়া, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দিলীপবাবু সাম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থী ও রাজ্যে দলের ‘ষ্টার ক্যাম্পেনার’ – তাই, দিলীপবাবুকে সরিয়ে দিলে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে জনমানসে। এই অবস্থায় দিলীপবাবুরই রাজ্য সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।

আর সূত্রের খবর, রাজ্যের দুই হেভিওয়েট অন্যতম শীর্ষনেতা এইভাবে দিলীপবাবুর জন্য সওয়াল করার পর – আর দ্বিতীয় কিছু ভাবেননি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। দিলীপবাবুর মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বর্ধিত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পরে যায়। আর সেই, লিখিত আদেশও নাকি ইতিমধ্যেই এসে গেছে ৬, মুরলীধর সেন লেনে। যেকোন দিনই তা সরকারিভাবে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দর মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!