এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রেলমন্ত্রী ও রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের দ্বৈরথ এবার গড়াল প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে

রেলমন্ত্রী ও রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের দ্বৈরথ এবার গড়াল প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে

লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত শরিকি সমস্যায় জেরবার হচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সেনাপতি মহারাষ্ট্র থেকে পাঞ্জাব – সর্বত্র দৌড়ে বেরিয়ে তা বাগে আনার চেষ্টায়। কিন্তু অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আভ্যন্তরীন ঝামেলায় এবার ঘুম উড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মন্ত্রীসভায় তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি পীযুষ গোয়েলের সঙ্গে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানির দ্বৈরথ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এসেছে এমন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে – যাকে কেউ বলছেন মুখরোচক, কেউ বা বলছেন বালখিল্য! কি সেই ঘটনা – রেলমন্ত্রী নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করেছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান কোনোরকম শিষ্টাচার না মেনে কথা বলার সময় জামার উপরের দুটি বোতাম খোলা রাখেন, যা রীতিমত অস্বস্তিকর!

কিন্তু, দিল্লির রাজনীতিতে একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে আসলে দুই দুই হেভিওয়েটের পারস্পরিক তাল ঠোকাঠুকি। অনেক আশা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী পীযুষ গোয়েলকে রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসাতেই, তিনি হুঙ্কার ছেড়েছিলেন – ডু ইট নাও! কোনো ফাইল ফেলে রাখা যাবে না। কিন্তু রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান পাল্টা জানিয়ে দেন – দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতির অপটিক্যাল ফাইবারের ফাইলে রয়েছে অনেক জটিলতা, প্রযুক্তিগত সব ছাড়পত্র না এলে সেই ফাইল ছাড়া যাবে না। ব্যাস – এখান থেকেই দুই মহারথীর মনোমালিন্য শুরু! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সামনেই লোকসভা ভোট, তাই সব ‘ইগো’ আপাতত শিকেয় তুলে রেখে কাজে মন দিন, আমলাদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে বাকি কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। আর তারপরেই আপাতত সব দায় সংবাদমাধ্যমের উপর চাপিয়ে সহাস্যে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন – রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতো দক্ষ প্রশাসক হয় না! কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা ছাইচাপা আগুনটা রয়েই গেছে – বিস্ফোরণটা শুধু কখন হয় সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!