এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় সুখবর খড়্গপুরের বিজেপির প্রার্থীর, জেনে নিন

বড়সড় সুখবর খড়্গপুরের বিজেপির প্রার্থীর, জেনে নিন


 

শঙ্কা ছিল, মনে ভয়ও ছিল। আর সেই ভয় অনেকক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত এখানে বিজেপি প্রার্থী দাঁড়াতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে যেন হৃদয়ে জল এল গেরুয়া শিবিরের। প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও দূর হল তাদের। ব্যাপারটি সকলের কাছে পরিষ্কার না হলেও একটু বিস্তারিত বললেই গোটা ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বস্তুত, আগামী 25 নভেম্বর খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। যেখানে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে প্রেমচাঁদ ঝাকে। দলের অন্দরে এই প্রার্থী নিয়ে যেমন অসন্তোষ বজায় ছিল, ঠিক তেমনই প্রেমচাঁদ ঝার বিরুদ্ধে মামলায় তিনি শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছিল সংশয়।

জানা যায়, গত 2004 সালে খড়্গপুরের তালঝুড়ি- সোনামুখী এলাকায় 11 একর জমি কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করে দেন প্রেমচাঁদ ঝা। যেখানে সেই 11 একর জমি স্বাধীনতা সংগ্রামী সুকান্ত বেরার নামে ছিল বলে জানায় তার পরিবার। আর এরপরই সেই পরিবারের তরফ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। যাকে ঘিরে প্রবল অস্বস্তি বজায় ছিল সেই প্রেমচাঁদ ঝার মনে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিবারের লোকেরা এই ব্যাপারে বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলে আরও বিপাকে পড়েন খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থী। তবে যদি তিনি এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যান, তাহলে বিজেপি যেমন চাপে পড়বে, ঠিক তেমনই তিনিও ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত বিপাকে পড়বেন বলে মনে করতে শুরু করেন একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে অবশেষে বড়সড় সুখবর পেলেই খড়্গপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, গত 4 নভেম্বর এই বিজেপি প্রার্থীর গ্রেফতারিতে আদালতের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলে তার মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত জারি ছিল। কিন্তু এদিন বুধবার সেই বিজেপি প্রার্থীর জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর এতেই প্রবল স্বস্তি পেলেন খড়্গপুরের বিজেপি প্রার্থী বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

কেননা যদি তার জামিনের মেয়াদ হাইকোর্ট বৃদ্ধি না করত, তাহলে তার প্রার্থীপদ যেমন বাতিল হত, ঠিক তেমনই তিনিও বিপাকে পড়তেন। যা বিজেপির কাছে অত্যন্ত আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াত। আর তাই সেদিক থেকে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত শোনার পর যেন বুকে জল এলো প্রেমচাদ ঝার। তবে সাময়িকভাবে তিনি স্বস্তি পেলেও তৃণমূল তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে এদিন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন খড়্গপুরের বিজেপি প্রার্থী। যার পাল্টা তৃণমূলের তরফেও বিবৃতি দিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “বিজেপি প্রার্থী যাই বলুন না কেন, আজ না হোক কাল তাকে জেলে যেতেই হবে।” তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, তৃণমূলের তরফে বিজেপি প্রার্থীর জেলে যাওয়া নিয়ে অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সাময়িকভাবে যেভাবে তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন, তাতে নির্বাচনের আগে তা বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা এবং গেরুয়া শিবিরের কাছে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক হল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!