এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ‘মেদিনীপুর-মডেলে’ ধূলিস্যাৎ অধীর-গড়, শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরে

‘মেদিনীপুর-মডেলে’ ধূলিস্যাৎ অধীর-গড়, শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরে


সারা রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাসফুল প্রতীকের দুর্নিবার অগ্রগতি হলেও, কিছুতেই দাঁত ফোটানো যাচ্ছিল না অধীর-গড় হিসাবে খ্যাত মুর্শিদাবাদে। তখনই এক দলীয় বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একান্ত অনুগত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারীকে সবার সামনে বলেন, আচ্ছা – মুর্শিদাবাদে একবার মেদিনীপুর-মডেল চেষ্টা করে দেখা যায় না? তৃণমূলের তরুণ-তুর্কি একমুহূর্ত দেরি করেননি সর্বোচ্চ দলনেত্রীর দেওয়া সেই চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করতে। আর তারপর দিনের পর দিন পরে থেকেছেন মুর্শিদাবাদে, অধীর চৌধুরীর একান্ত অনুগত সৈনিকদের একের পর এক দলবদল করিয়ে নিয়ে এসেছেন ঘাসফুল শিবিরে। আগেই দখলে নিয়ে এসেছেন জেলা পরিষদ, একের পর এক পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে অধীর চৌধুরী ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন এই মুর্শিদাবাদ থেকেই।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরোতেই দেখা গেল অধীর চৌধুরীর সৈনিকদের যুদ্ধে নামার মত পরিস্থিতিই রাখলেন না শুভেন্দু অধিকারী। যে অধীর-গড়ে তুমুল বাম-জমানাতেও আঁচড় কাটার ক্ষমতা হয় নি অন্যদলের, সেখানেই এবার ছত্রখান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সব লড়াইয়ের ডাক। মুর্শিদাবাদে ৭০ টির মধ্যে ৪৮ টি জেলা পরিষদ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল শুভেন্দু অধিকারীর দাপটে। আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় শুধু জেলা পরিষদেই নয়, মেদিনীপুর-মডেলে দীক্ষিত মুর্শিদাবাদ তৃণমূল কংগ্রেস ২৬ টির মধ্যে ১৬ টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২৫০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬০ টি অবলীলাক্রমে নিজেদের দখলে নিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আর স্বাভাবিকভাবেই এই অকল্পনীয় সাফল্যের পর – তুমুল উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবির। সবুজ আবিরের বিজয়োল্লাসের পাশাপাশি, চলেছে শীর্ষনেতৃত্বের অভিনন্দন বর্ষণ। কিন্তু তারমাঝেই খোঁটার কাঁটা দিতে ভুললেন না কংগ্রেস নেতৃত্ত্ব। রীতিমত বিস্ফোরকভাবে অভিযোগ, এভাবে প্রশাসনকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে জয় হাসিল করার পিছনে কী গৌরব রয়েছে? ক্ষমতা থাকলে ভোটের লড়ে দেখাক তৃণমূল, সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করুক। মুর্শিদাবাদের মানুষ জবাব দিয়ে দেবে, তাঁরা কার দিকে রয়েছেন। এক মাঘে শীত যায় না, সময় এলেই ওঁরা বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!