প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়েও বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সাংবিধানিক পদমর্যাদার ব্যক্তিদের গাড়িতে করে রাজ্যে টাকা আসছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে।

স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। জানা যায়, এদিন কালিঘাট থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় বহিরাগত ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। বাংলাকে বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে শাসন করতে দেব না। যারা বাংলায় বাস করেন না, ভোট প্রচারে আসছেন, তাদের বহিরাগত বলছি না। বিভিন্ন রাজ্য থেকে হাজার হাজার লোককে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন হোটেলে আছে জানি। রাতে এক হোটেল থেকে আর এক হোটেলে গিয়ে অপারেট করছে। এমনকি সাংবিধানিক পদমর্যাদার ব্যক্তিদেরও কাজে লাগাচ্ছে। ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে টাকা কেন যাবে! নিজেরা নিজেদের রাজ্য সামাল দিন। উত্তর প্রদেশে একই দিনে তিনটি ঘটনা ঘটেছে। কোনো বিচার নেই। বাংলার শাসন আমরাই করব, যারা এখানে আছি। আমরা বাংলাকে চিনি। বাংলার সংস্কৃতি যারা জানে না, তারা বাংলা শাসন করবে না। এটাই বাংলার অধিকার রক্ষার লড়াই। বিজেপি আসলে বাংলার সর্বনাশ। তৃণমূলকে আনা মানে বাংলার স্বর্ন সকালের নতুন অধ্যায়।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী ঘোষণার সময় এই বিস্ফোরক অভিযোগ করে কার্যত শোরগোল তুলে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, বিজেপি বহিরাগত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা হচ্ছে বলেও ইঙ্গিতবহ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা কবে প্রকাশ করবে, তার দিকে নজর ছিল সকলের। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই যেভাবে বহিরাগত ইস্যুতে আবার সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে নির্বাচনী প্রচারে এই ইস্যু যে সরগরম হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।