সকাল ১০ টাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বীরভূমের চিত্র, রবি ঘোষের মত মাথা চাপড়াবেন অনুব্রত, দাবি বিজেপির মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 28, 2019 আগামীকাল সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও চতুর্থ দফার নির্বাচন হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মোট ৮ টি লোকসভা আসনে হবে ভোটগ্রহণ। কিন্তু, রাজ্যবাসীর তুমুল আগ্রহ বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসন নিয়ে। কেননা ওই দুই আসনের দায়িত্ব তৃণমূলের তরফে পেয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। যে অনুব্রত মন্ডলের পঞ্চায়েতে ‘রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়’ করানোর কাহিনী বঙ্গ-রাজনীতির আঙিনা পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল জাতীয় স্তরেও। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি সামনে এনেছিলেন নকুলদানা তত্ত্ব। যে নকুলদানার ভয়ে কাঁপছেন ভোটকর্মীরা। মরিয়া হয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন – অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করে রাখুক নির্বাচন কমিশন। রাজ্য বা জাতীয় রাজনীতিতে যা নজিরবিহীন! একজন রাজনৈতিক নেতাকে নজরবন্দি করার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন ভোটকর্মীরা! ভূ-ভারতে কোথাও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করতে পারছেন না বহু প্রবীণ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞও। এই পরিস্থিতিতেও অনুব্রত মন্ডল কিন্তু হুঙ্কার ছাড়ছেন – তিনি ১৪ টি বিধানসভাতেই ঘুরে ঘুরে নিজের মত ভোট করবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে, স্বাভাবিকভাবেই আগামীকাল সবথেকে বেশি আকর্ষণ থাকবে – অনুব্রত মন্ডল কতটা ‘ভোট করাতে পারলেন’ সেদিকেই। বিশেষ করে তাঁর দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন তাঁকে প্রকাশ্যেই নির্দেশ দিয়ে গেছেন, ‘বাঘের বাচ্চার মত লড়াই করবে, একটু ধমকাবে-চমকাবে’! ফলে অনুব্রত মন্ডলের ‘ধমক-চমক’ নির্বাচন কমিশন আটকে দিয়ে আগামীকাল সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে কিনা সেদিকেই নজর সবার। ইতিমধ্যেই ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও টহলদারির জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অনুব্রত মন্ডলকে থামাতে তা যথেষ্ট হবে কিনা, সেদিকেই নজর আপাতত ভোটকর্মীদের। এরই মাঝে, বিজেপির এক তরুণ দাপুটে নেতার বক্তব্য, আগামীকালের ভোটের কি চিত্র হতে চলেছে তা সকাল ১০ টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। কুচবিহার নিয়েও অনেকে অনেক কথা বলেছিলো, দাবি করেছিল ৫ লক্ষ ভোটে জিতবে। অথচ সকাল ১০ টা বাজতেই পুনর্নির্বাচনের দাবি করতে শুরু করেন দাপুটে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এখন তো শুনছি আবার উনি ব্লক সভাপতিদের দিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে নিচ্ছেন ‘লিড’ হবে না বলে! মানে গণনার আগেই হার স্বীকার করে নিচ্ছেন একপ্রকার। আগামীকাল রবিবাবুর সহকর্মী অনুব্রতবাবুকেও একইভাবে কপাল চাপড়াতে হবে – ‘উন্নয়ন’ কাজ করতে পারছে না দেখে, আর তা স্পষ্ট হয়ে যাবে ভোট শুরুর তিন ঘন্টার মধ্যেই। আমাদের নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর পূর্ণ আস্থা আছে – ফলে, মানুষ বুথে গিয়ে নিজের ভোটাধিকার অবশ্যই প্রয়োগ করতে পারবেন – আর তাহলেই কিন্তু ‘উন্নয়নের’ চাকা মাটিতে বসে যাবে! আপনার মতামত জানান -