এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > “বীরভূমে ভোট লুট হলে শীতলকুচি হতে পারে” কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!

“বীরভূমে ভোট লুট হলে শীতলকুচি হতে পারে” কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চতুর্থ দফায় কোচবিহারের শীতলকুচিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় 4 জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়। যে ঘটনার পর থেকেই বিজেপির নানা নেতা-নেত্রীদের গলায় শোনা যায় বিস্ফোরক মন্তব্য। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসুর মত নেতাদের গলায় উঠে আসে শীতলকুচির প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে পরবর্তী দফাগুলিতে যদি কেউ ভোট লুট করতে আসে, তাহলে শীতলকুচির মত ঘটনা আবার ঘটবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতা নেত্রীরা।

তবে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সায়ন্তন বসুকে কমিশনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারপরেও অবস্থার যে কোনো উন্নতি হয়নি, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। এবার অষ্টম দফার নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ দিন সেই শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে এনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যেখানে তার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

বস্তুত, রবিবার সিউড়িতে একটি সভা করেন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই এই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বীরভূমের ভোট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “বীরভূমে কেউ একটা ভোট লুট করার চেষ্টা করলে আবার শীতলকুচি হতে পারে। কারও হিম্মত নেই, একটা ভোট আটকে দেয় বা চমকে দেয়। আপনারা ভাববেন না যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী শান্তশিষ্ট হয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার জন্য এসেছে।”

স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপবাবুর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমনিতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পূর্ণরূপে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আর এবার শীতলকুচির ঘটনার কথা তিনি যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার জন্য আসেনি বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিজেপির যে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তৃণমূলের পক্ষ থেকে তোলা হচ্ছে, তা আরও জোরালোভাবে ফুটে উঠল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিরোধীদের একাংশ বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কথামত চলছে। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় 4 জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আর এবার সেই ঘটনার কথা তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন, তাতে তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কমিশনের।

তবে অনেকে আবার বলছেন, বারবার বীরভূমে নির্বাচনের সময় সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে বিরোধীরা মাথা তুলতে পারে না বলে অভিযোগ করে একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করে মানুষকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য আশ্বস্ত করেছেন। এর সঙ্গে বিতর্ক খোঁজা বৃথা। তবে যে যাই বলুন না কেন, শীতলকুচি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দিলীপ ঘোষের অষ্টম দফার নির্বাচনের আগে এই মন্তব্য যে এখন যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছে রাজ্যজুড়ে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!