এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিরোধী জোট তৈরি হলেও রাহুলের নেতৃত্ব মানতে নারাজ? তৃণমূলের কৌশল নিয়ে জল্পনা!

বিরোধী জোট তৈরি হলেও রাহুলের নেতৃত্ব মানতে নারাজ? তৃণমূলের কৌশল নিয়ে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করে বিজেপির বিরুদ্ধে পথ চলতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিস্তৃত নয়। সেদিক থেকে সর্বভারতীয় স্তরে যদি বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন হয়, তাহলে কে নেতৃত্ব দেবে, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ বলে দাবি করা হচ্ছে।

তবে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এখন প্রধান বিরোধী দল বলে পরিচিত জাতীয় কংগ্রেস। সেদিক থেকে কংগ্রেস জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে যে বিন্দুমাত্র জায়গা ছেড়ে দেবে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যেতে শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন করতে প্রধান ভূমিকা নিলেও, বর্তমানে বিজেপি বিরোধিতায় সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে। যার ফলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে যে, আগামী দিনে রাহুল গান্ধী জাতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি হলে সেখানে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।

সেদিক থেকে যদি বিজেপি বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসে, তাহলে রাহুল গান্ধী এখন থেকেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী মুখের দাবিদারের রাস্তা মসৃণ করতে পারেন বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস যে রাহুল গান্ধীকে কোনোভাবেই এই রাস্তায় হেঁটে সফল হতে দেবে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যার কারণে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কিছুটা হলেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সচেতন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে বেশ কিছু কারণ সামনে এসেছে। একাংশ বলছেন, অধিবেশনের বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি যোগদান করেননি। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি বিরোধীতার প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। সেদিক থেকে রাহুল গান্ধী বর্তমানে যেভাবে সক্রিয় হয়ে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিতে চাইছেন, তা কোনোভাবেই তৃণমূলের কাছে স্বস্তির হচ্ছে না। আর সেই কারণেই রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, রাহুল গান্ধী যদি জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ নিজের উত্থান ঘটাতে শুরু করেন, তাহলে কোনোভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপ্ন সফল হবে না। মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দেবেন না বলে দাবি করলেও, তৃণমূলের একাংশের মনে যে তাকে নিয়ে যথেষ্ট স্বপ্ন রয়েছে, তা বলাই যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে যাতে রাহুল গান্ধী কোনোভাবেই শীর্ষে উঠে না আসেন, তার জন্যই তৃণমূলের এই রাহুল গান্ধী থেকে দূরত্ব এবং সচেতনতা কৌশল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর এখানেই একাংশের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, যদি রাহুল গান্ধীর এই উত্থান তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নিতে না পারে, তাহলে আগামীদিনে বিরোধী জোটে বড়সড় ফাটল ধরতে পারে। সেদিক থেকে যে উদ্দেশ্যে এই বিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে বলেই দাবি একাংশের।

একাংশের মতে, রাহুল গান্ধী গান্ধী পরিবারের সদস্য। পারিবারিক পরম্পরায় দক্ষিণপন্থী ঘরানার রক্ত তার শরীরে বইছে। বরাবর বিজেপি বিরোধী দল বলেই পরিচিত কংগ্রেস। সেদিক থেকে বিরোধী মহাজোট তৈরি হলেও এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সক্রিয় হন না কেন, রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা পারিবারিক পরম্পরা ধরে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যে যথেষ্ট স্পর্শকাতর হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপ্ন থাকলেও, তারা বিরোধী মহাজোট সফলতা পাওয়ার পরেও, সেভাবে গ্রহণযোগ্য জায়গা নাও পেতে পারেন। আর তাই সেই কারণে কৌশলে একদিকে বিরোধী মহাজোট তৈরি করা এবং অন্যদিকে যাতে রাহুল গান্ধীকে নেতৃত্বের জায়গায় আনা না যায়, তার জন্য সচেতন দৃষ্টি প্রয়োগ করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!