এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রলয় পালকে নিয়ে গুজব অতীত, খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু, একেই বলে বাপের ব্যাটা!

প্রলয় পালকে নিয়ে গুজব অতীত, খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু, একেই বলে বাপের ব্যাটা!


 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যে প্রলয় পালকে একসময় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের দিকে টানার চেষ্টা করেছিলেন, সেই প্রলয় পালের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন। তবে এই ঘটনার 72 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই প্রলয় পালের মুখেই শোনা গেল অন্য কথা। তিনি জানালেন, তিনি বিজেপিতেই থাকছেন। কোনোরূপ রাজনীতি ছাড়ছেন না। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সেই প্রলয় পালকে দেখতে পেয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গেল অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা। যারা প্রলয় পালের রাজনীতি ছাড়ার খবর দিনের মধ্যে প্রত্যেকটি হেডলাইনে দেখাতে শুরু করেছিলেন, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রলয় পালকে সাথে নিয়েই শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, সাময়িক কিছু অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল। তবে এটা নিয়ে গেল গেল রব যারা তুলেছেন, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন প্রলয় পালকে সাথে নিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের যন্ত্রণা এই প্রলয় পালকে নিয়ে। কিন্তু তিনি দল ছাড়ছেন না। তার দল ছাড়া নিয়ে যারা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, তারা এর ফলে আরও চিন্তিত হয়ে পড়লেন। প্রলয় পাল রাজনীতি ছাড়ার জন্য একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তার বিজেপি ছাড়ার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই। শুধু তাই নয়, পিসি ভাইপোকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত এই প্রলয় পালের মতো সাংগঠনিক পরিশ্রমী নেতৃত্বকে যে বিজেপি আরও বেশি করে কাজে লাগাবে, সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখানেই অনেকে বলছেন যে, তাহলে যে আঁচ আগেই পাওয়া গিয়েছিল যে, প্রলয় পালকে ময়দানে ফেরাতে হয়ত বড় কোনো মাথা কাজ করেছে। তাহলে কি সেই মাথা শুভেন্দু অধিকারী? তার জন্যই কি আবার রাজনীতিতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রলয়বাবু?

একাংশের যুক্তি, রাজ্য রাজনীতিতে যেভাবে বিরোধী শিবিরে থেকে লড়াইটা দিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে্ তিনি নিজের এলাকা কিন্তু বিজেপির পক্ষে নিয়ে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে একেবারে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, মেদিনীপুরে ক্ষমতা এবং শাসক শেষ কথা বলে না। তার সাংগঠনিক দক্ষতা তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন। আর এবার যে প্রলয় পাল রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কথা বলেছিলেন, তিনি 72 ঘন্টার মধ্যে বিজেপিতে থাকার কথা জানিয়ে দিলেন। যার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল যে, হয়তো এমন কেউ ময়দানে নেমে এই প্রলয় পালের অভিমানকে ভাঙিয়ে দিয়েছেন, যার জন্য তিনি আবার বিজেপির প্রতি আস্থা রাখলেন। তবে কে সেই ব্যক্তি? শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে প্রলয় পালকে দেখতে পাওয়া এবং তার সক্রিয় অবস্থানের পর মুশকিল আসান চিহ্নিত করতে সময় লাগছে না পর্যবেক্ষকদের। তাদের দাবি, বাপের ব্যাটা যদি বিজেপিতে কেউ থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রলয় পাল যদি সত্যিই বিজেপি থেকে অবসর নিয়ে নিতেন, তাহলে অস্বস্তিতে পড়ত গেরুয়া শিবির। কারণ এই প্রলয় পালকে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সঙ্গে কথা বলেছেন। অর্থাৎ তার সাংগঠনিক দক্ষতা যে প্রশ্নাতীত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সেই প্রলয় পাল দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বিজেপির কর্মীরাও হতাশ হতে শুরু করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে শুভেন্দু অধিকারী হাল ধরেছেন বলেই আজকে প্রলয়বাবু 180 ডিগ্রি ঘুরে গেলেন। বিজেপির প্রতি আস্থা রেখে বুঝিয়ে দিলেন, শুভেন্দু অধিকারী যেখানে, সমস্যা মিটে যাবে সেখানে। ফলে এত কিছুর পরেও যদি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যের সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য শুভেন্দুবাবুর মত নেতাকে দায়িত্ব না দেন, তাহলে তারা কি ভুল করবেন, তা সময়ই বুঝিয়ে দেবে। কারণ এতদিনে রাজ্যের মাথায় যে ব্যক্তিই থাকুক না কেন, বিজেপি কর্মীদের মনে, হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সকলে একটা কথাই বলছেন, বাপের ব্যাটা যদি কেউ থেকে থাকে, তাহলে তিনি এই শুভেন্দুবাবুই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!