এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিরোধিতা কি তাহলে শেষ ! রাজ্যপালের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত রাজ্য নেতৃত্বের সাথে

বিরোধিতা কি তাহলে শেষ ! রাজ্যপালের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত রাজ্য নেতৃত্বের সাথে

রাজ্য রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত সর্বজনবিদিত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যপালের আসন পাওয়ার সাথে সাথেই প্রায় রাজ্য সরকারের সাথে তাঁর বিরোধ লেগে যায়। তবে এই বিরোধ বিভিন্ন সময়ে আমাদের সামনে এসেছে। যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেরকমই রাজ্যে ঘটে চলা একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে একসময় রাজ্যপাল চুড়ান্ত সমালোচনা করেছিলেন রাজ্য সরকারের। তবে এবার রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্যপাল রাজ্যের স্বার্থে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চাইছেন বলে জানা গেছে।

রাজ্যের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনার পাশাপাশি রাজ্যপাল ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তাঁর যাবতীয় দূরত্ব তিনি মেটাতে চাইছেন। তার জন্য তিনি সর্বতোভাবে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বিধানসভায় বহু বিল তিনি সময়মতো অনুমোদন না দেওয়ায় তা আটকে গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের পরিদর্শন নিয়ে রাজ্য সরকার তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যপালের।

অন্যদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর অভিযোগ জানিয়েছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলেও তাঁকে সেখানে কেউ স্বাগত জানায়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও তিনি ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। আর তার পরেই রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক মেরুকরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন রাজ্যপাল। অন্যদিকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যপাল অযাচিত কারণে বিধানসভায় প্রস্তাবিত বিলগুলিতে সই করছেন না। যে কারণে দুদিনের জন্য বিধানসভার সমস্ত অধিবেশন মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যপাল সাস্ত্রীক বিধানসভায় যান। সেখানে তিনি বি আর আম্বেদকর এর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিধানসভার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে স্বাগত জানায়। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর, ওই সময় স্পিকার একটি ব্যবসায়ী পরামর্শ প্রদানকারী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সংবিধান দিবস নিয়েও রাজ্যপাল তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিধানসভায় একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা হলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এড়িয়ে যান।

এদিন বিধানসভার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন, ” আলোচনাই বিরোধ মেটানোর একমাত্র পথ। আমি যে কোনও নির্ধারিত স্থানে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, সে রাজভবন হোক বা নবান্ন। আমি এই বিষয়ে তাকে চিঠিও দিয়েছি। মঙ্গলবার আমি তার সাথে ফোনও কথা বলেছি।” তবে এখনো পর্যন্ত রাজ্যপালের এই দাবির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য নেতৃত্ব পক্ষ থেকে কেউই কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।

রাজ্যপাল ও রাজ্য নেতৃত্বের সম্পর্কটি যে খুব একটি ভালো নয়, তার প্রকাশ আমরা বহুবার দেখেছি। তবে এবার রাজ্যপালের পক্ষ থেকে আলোচনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজ্যের স্বার্থে যখন রাজ্যপাল আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন, তখন রাজ্য নেতৃত্বের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত। অন্যদিকে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেখানে রাজ্যপালকে স্বয়ং রাজ্য নেতৃত্ব বিজেপি দলের লোক বলে অভিহিত করেছেন, সে জায়গায় তিনি রাজ্যপালের সাথে আলোচনায় বসবেন এ আশা রাখা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। আপাতত সমগ্র বিষয়টির ওপর নজর রেখেছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!