এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অবশেষে মমতার সার্কাস শেষ! শিল্প সম্মেলন নিয়ে আরও চাপে রাজ্য! সোচ্চার বিজেপি!

অবশেষে মমতার সার্কাস শেষ! শিল্প সম্মেলন নিয়ে আরও চাপে রাজ্য! সোচ্চার বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে শিল্প সম্মেলনের নাম করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে অবশেষে একটা সার্কাস রাজ্যের মানুষের সামনে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হ্যা, এটাকে সার্কাসই বলা হচ্ছে। কারণ, অতীতেও অনেক শিল্প সম্মেলন হয়েছে। সেখান থেকে কোনো লাভ এই রাজ্যবাসী পায়নি। তাই এবারও নামিদামি শিল্পপতিদের নিয়ে এসে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেওয়ানো হলেও তারা বাংলা থেকে ফিরে যাওয়ার পর এই রাজ্যের নাম আর মুখে পর্যন্ত আনবেন না। তবে এই সমস্ত কথা আমরা বলছি না। এই সমস্ত কথা বলছে বিরোধীরাই। কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে বলতে দেখা যেত যে, কেন্দ্রে আম্বানি এবং আদানিদের সরকার চলছে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ভরসা রাখলেন সেই মুকেশ আম্বানির ওপর। আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করেই তৃণমূলকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন যে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত যাদের বিরোধিতা করত তৃণমূল, এখন তাদেরকেই মঞ্চে বসিয়ে শিল্প সম্মেলনের কথা বলছে। আসলে এই শিল্প সম্মেলনের কোনো বাস্তবতা নেই। শুধুমাত্র টাকা খরচ করে পুজোর পরে শিল্পপতিদের বিরিয়ানি খাওয়ানো হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সত্যিই তাই। ভবিষ্যতে দেখা যাবে, এবারের শিল্প সম্মেলনে শুধুমাত্র কারি কারি টাকা খরচ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় বলেন, রাজ্যে নাকি অর্থনৈতিক ভান্ডার শুন্য। অথচ মানুষের টাকা নষ্ট করে এই সমস্ত সম্মেলন করতে তিনি দুবার ভাবেন না। তাও যদি হত, এই সম্মেলনের পর রাজ্য লাভবান হত। কিন্তু সেরকম কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাই বিরোধীরা গঠনগত বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে সরকারের ত্রুটি তুলে ধরে এভাবেই তুলোধোনা করবে এবং এটাই করা উচিত। তা না হলে এই সরকার আরও বেশি করে অন্যায় মূলক কাজে প্রশ্রয় পাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাবেন, এভাবেই মানুষের টাকা নষ্ট করবেন, আর তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাহলে তিনি ভুল করছেন। এবার রাজ্যে বিরোধী দলের রয়েছে বিজেপি। তারা ছেড়ে দেওয়ার মত দল নয়। মুখ্যমন্ত্রীকে এই কোটি কোটি টাকা নষ্ট করার অধিকার কেউ দেয়নি। তাই শিল্প-সম্মেলন করার নাম করে সার্কাস হয়ত রাজ্যে বন্ধ হয়েছে। কিন্তু যে টাকা খরচ হয়ে গেল, তাতে সুদে আসলে ভবিষ্যতে কি উঠে এলো, তা জানার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে বিরোধীরা। আর এখানেই মোক্ষম চাপে পড়বে শাসকদল বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা শুধু আওয়াজ তুলবে, কিন্তু এর বেশি করার মত তাদের কাছেও কিছু নেই। কারণ এই সরকার তো পুলিশ দিয়ে তাদের মুখও বন্ধ করে দেবে। সুকান্তবাবুর বক্তব্য রাজ্যের মানুষ অবশ্যই সমর্থন করবেন। কারণ সত্যিই একটা সার্কাস হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র মানুষের টাকা নষ্ট হয়েছে। আর টিভির পর্দায় ঝা চকচকে মঞ্চ এবং বড় বড় শিল্পপতিদের ভাষণ শুনেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু শুধু ভাষণে তো পেট ভরে না। শিল্প সম্মেলন শেষ হওয়ার পর যারা এই বড় বড় ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন, তারা আর এই রাজ্যের দিকে ফিরেও তাকাবেন না। কারণ এই রাজ্যের শিল্পনীতিটাই ভুল। সুকান্তবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!