এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বসিরহাটে পা রেখেই বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর হুঙ্কার – রিগিং করতে আসলে গুলি করে মারা হবে!

বসিরহাটে পা রেখেই বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর হুঙ্কার – রিগিং করতে আসলে গুলি করে মারা হবে!


লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়া এখন রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে শাসক-বিরোধী তরজায় জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আর এবার সেই তরজার মাঝেই শাসক দল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু।

সূত্রের খবর, রবিবার বসিরহাটে জেলা হাসপাতালে আক্রান্ত দলীয় কর্মীকে দেখে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসকদলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় সায়ন্তন বাবুকে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দেওয়াল লিখনের সময় অনিল মিস্ত্রি নামে এক কর্মী তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়। আর এতেই এদিন তাকে দেখতে আসেন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

এদিকে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মীদের হাতে মার খেলেও আক্রান্ত কর্মীদের বিরুদ্ধেই সন্দেশখালি থানার ওসি কেস করেছেন বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। আর এদিন সেই প্রসঙ্গে সেই ওসির বিরুদ্ধে মুখ খুলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে বলবোষ সন্দেশখালির ওসিকে নিয়ে যেন একটু চিন্তা-ভাবনা করা হয়। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই্ এবার একটা মশাও বুথে‌ ঢুকতে পারবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখানে বিএসএফ ঢুকবে। আর যা গুন্ডা মাস্তান আছে হয় তারা পালাবে, না হয় জেলে যাবে, কেউ যদি রিগিং করতে আসে তাহলে তাকে গুলি করে মারা হবে।”

আর সায়ন্তনবাবুর এই “রিগিং করতে আসলেই গুলি করে মারা হবে” এই কথাতেই এবার তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। কিভাবে তিনি নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার কথা বললেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই সমস্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বিজেপির বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে “বাচ্চা ছেলে” বলে অভিহিত করে বলেন, “ও জীবনে কোনোওদিন ভোটে দাঁড়ায়নি। তাই এসব ভুলভাল বকছে। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কথা না বলে ও আরও তিনটা লোকসভা নির্বাচনের পর 2034 সালের কথা ভাবুক। তখন ওর মন্তব্যের জবাব দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে বসিরহাটের ভোটাররা সায়ন্তন বসুকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেবে। মানুষ এবারে আমাদের প্রার্থী নুসরত জাহানকে 4 লক্ষের বেশি ভোটে জয়যুক্ত করবেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার সাথে সাথেই এবার রাজ্য রাজনীতিতে ফের কু- মন্তব্যের রেওয়াজ ফিরে আসতে শুরু করল। যা বসিরহাটের বিজেপির প্রার্থী সায়ন্তন বসুর হুংকার থেকেই ফের আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!