সবং উপনির্বাচনের পরে মিসড কল দিয়ে সদস্য সংগ্রহে বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি বিশেষ খবর রাজ্য December 23, 2017 গত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় মোদী হাওয়াকে ভর করে বাংলায় সংগঠন বিস্তারে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের দেখানো পথে একটি বিশেষ টেলিফোন নম্বরে মিস কল দিলেই বিজেপির সদস্য হওয়া যাচ্ছিল, এই পন্থা অবলম্বন করে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি সদস্য সংগ্রহ করে। বিজেপি সূত্রে দাবি এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মিস কল দিয়ে বিজেপির সদস্য হওয়া মানুষে সংখ্যা প্রায় ৪৪ লক্ষ, এদের মধ্যে শুধুমাত্র সবং বিধানসভা কেন্দ্রে মিস কল দিয়ে বিজেপিতে নাম লেখানো সদস্যের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৬৪ জন। সূত্রের খবর, সবং উপনির্বাচনের আগে এই সব সদস্যদের ফোন করা হয় বিজেপির আইটি সেলের তরফ থেকে। ফোন করে ঐসব ‘সদস্যদের’ দলীয় পরিচয় দিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিপাকে পড়তে হয় ফোনকারীকে, কেননা স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ওইসব ‘মিসড কল’ দিয়ে হওয়া ‘সদস্যরা’ পরিষ্কার জানিয়েছেন তাঁরা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থক। আর এই তথ্য সামনে আসতেই হইচই পরে গেছে রাজনৈতিক মহলে। যদি ফোন করে হওয়া বিজেপি ‘সদস্যরা’ এখনও সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থক হন, তাহলে তাঁরা বিজেপির ওই নম্বরে ফোন করেছিলেন কেন? নিছকই মজা করতে? নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারন আছে। নাকি রাজ্য বিজেপির কোথাও একটা ভুল হচ্ছে? এর জবাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারিয়ে এবং নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতে চেয়ে ২০১৪ সালে শাসক শিবিরের কর্মীরা বিজেপির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু তখন পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না বলে তাঁরা প্রকাশ্যে আসতে পারেননি, এখনও হয়তো অনেকেই আতঙ্কিত। কিন্তু অনেকেই এখন আমাকে ফোন করে কিংবা দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। ফলে সবং ভোটের ফল নিয়ে তৃণমূল শিবির যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, বিজেপি কার ভোট কত কেটেছে, তা নিয়েই তো অন্যদলগুলি ভেবে মরছে। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ও শাসকদলের অন্যতম শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, দিলীপবাবুরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ মিস কল দিয়ে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে মানুষকে ভাঁওতা দিয়েছে। দিলীপবাবু নিজের চাকরি বাঁচাতে সেই কাল্পনিক সদস্যদের বড় করে দেখাতে চাইছেন। বাংলার রাজনীতি হয় আদর্শ-অনুশাসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া যার কোনও বিকল্প নেই। ফলে সবমিলিয়ে বিজেপির মিসড কল দিয়ে সদস্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -