এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা কার্যত নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রীর – ঘুম উড়ছে বিজেপির

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা কার্যত নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রীর – ঘুম উড়ছে বিজেপির


“আন্না হাজারে ইন্ডিয়া এগেইনস্ট কোরাপশন” আন্দোলন থেকেই উত্থান ঘটেছিল আম আদমি পার্টির সর্বাধিনায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। গত 2012-13 সময়কালে দিল্লির বুকে হওয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে ন্যায়পালিকা শুদ্ধিকরণের দাবিতে লোকপাল নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, সিভিল সোসাইটি থেকে শুরু করে নাগরিক মঞ্চ, প্রত্যেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।

পরবর্তীতে এই আন্দোলনে নিজের জনপ্রিয়তাকে পাথেয় করে রাজনৈতিক দল খুলে বসেন কেজরিওয়াল। আর তারপরেই পরপর দুবারের জন্য দিল্লি দখল করতে সক্ষম হয়েছে আম আদমি পার্টি। নিজের নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন ঝাড়ুকে সম্বল করে বিগত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিজের এককালের সহকর্মী তথা ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা আইপিএস কিরন বেদিকেও টক্কর দিতে সক্ষম হয়েছিল কেজরিওয়াল।

এখন পুনরায় পাঁচ বছর কার্যকাল পূর্ণ করে দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, এবারেও দিল্লির বিধানসভায় ঝাড়ুর দাপট অব্যাহত থাকবে। ভারতবর্ষের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে থাকবে আম আদমি পার্টি, এমনটাই মনে করছে বিভিন্ন সমীক্ষা। নিজের ভোট প্রচারে ব্যাপক পরিমাণে মানুষের সাড়া পাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

দলের কারও কাছে তিনি বস, কারও কাছে স্যার, কারও কাছে ভাইয়া, আবার কারও কাছে সিএম সাহেব। কেউ আবার শুধু কেজরীওয়াল বলে ডাকেন। এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনে অনেক আগেই আম আদমি পার্টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধিতা নয় বরং নিজের কাজের পরিসংখ্যান তুলে নির্বাচনী বৈতরণী পার করবে আম আদমি পার্টি। সেই সংক্রান্ত কাজে কোনোরকম ত্রুটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ভোট প্রচারে ময়দানে।

অন্যদিকে আবার লক্ষ করা গেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রোড শো থেকে শুরু করে প্রচারের ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের চরম নজরদারি সত্ত্বেও মানুষের ঢল সব সময় চাইছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাক্ষাৎ পেতে। উপচে পড়া জনতার ভিড় এবং মানুষজনের আসা একটি বারের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলানোর। কেউ বা মালা পরাতে চাইছেন নিজেদের প্রিয় নেতাকে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে আগামীকাল অর্থাৎ 7 ফেব্রুয়ারি শেষ দিন হিসাবে নিশ্চয় করেছে নির্বাচন কমিশন।

তার আগে সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তুঙ্গে চলছে প্রচার কর্মসূচী। কিন্তু প্রচারের নিরিখে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে অনেকটাই পিছনে ফেলে মানুষের সমর্থন যে ক্রমশ আম আদমি পার্টির দিকে ঝুঁকছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজেদের প্রচারের মধ্যে দিয়েও সেই কথাই বলে চলেছে তাদের বক্তব্যে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের কথাতেও গোপন করেনি। তিনি বলেন, “ম্যায় আপকে সাথ হু।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি এবারের নির্বাচনী বৈতরণী যদি পার হয়ে যায়, তাহলে ক্রিকেটের ভাষায় হ্যাটট্রিক করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যেই তিনি বলতে শুরু করেছেন, আমি আপনাদের ঘরের ছেলে। জলের বিল মুকুব করা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া, সহ একাধিক বিষয়ে জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দিল্লিবাসীর মনের অত্যন্ত কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

তিনি খড়গপুর আই আই টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের প্রাক্তন চাকুরে। তাই তার কাছ থেকে বুদ্ধিমত্তা আশা করা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। জনগণের মন যে তিনি জয় করতে পেরেছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন জনসভায়। নিজের জনসভায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল রীতিমতো দাবি করেছেন, ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে নিজের ভোট নষ্ট করা।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের সব কেন্দ্রে আমি প্রার্থী। তাই আপনাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো।” ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে একজন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকেও সামনে আনতে পারেনি বিজেপি। আমি আপনাদের বাড়ির ছেলের মত। বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রে জলের বিলের ক্ষেত্রে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের চিকিৎসার খেয়াল করেছি।”

জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, করেছে কিনা বলুন! সম্মিলিত জনতার প্রবল করতালি প্রমাণ করেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তাকে। তিনি যখন প্রশ্ন করেছেন, ভোট কিসকো! জনতার জবাব এসেছে আপকো। ভোটের নিরিখে বাল্মিকী সমাজের একাংশের বিরোধ থাকলেও, তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে পড়েছেন আম আদমি পার্টির সর্বাধিনায়ক।

এই ক্ষেত্রে ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে হরিজন সম্প্রদায়ের একাংশ মানুষকে বাল্মিকী সমাজ বলা হয়‌। তাদের চাকরি বাকরি সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি। তবুও তাদের ভোটকে আলাদা করে ধরলেও জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী হতে দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টিকে। আগামীকাল প্রচারের শেষ দিন। আর সেই কারণেই নিউ দিল্লি বিধানসভা এলাকা থেকে শুরু করে সরোজিনী নগর এলাকা পর্যন্ত রোড শো করতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

বিশেষ সূত্রে খবর, আগামীকাল তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রচার চালাবেন। সব কিছু মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জনমত সমীক্ষায় দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির জয় যেভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাতে করে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এখন নিজের প্রচারের ক্ষেত্রেও সেই আত্মপ্রত্যয় ফুটে উঠছে। কিন্তু রাজনীতিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে শেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জনতা জনার্দন। তাই নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আম আদমি পার্টির আত্মবিশ্বাস এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষা সঠিক বলে প্রমাণিত হয়, নাকি সব জল্পনা কল্পনাকে দূরে সরিয়ে শেষ হাসি ভারতীয় জনতা পার্টি! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!