এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি জিতলে সেই এলাকায় কোনো উন্নয়ন হবে না! কর্মীসভায় অনুব্রতর হুঁশিয়ারি ঘিরে তীব্র বিতর্ক

বিজেপি জিতলে সেই এলাকায় কোনো উন্নয়ন হবে না! কর্মীসভায় অনুব্রতর হুঁশিয়ারি ঘিরে তীব্র বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব- এই দুইয়ের টানাপোড়েনে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই নির্বাচনের বৈতরণী পার করার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও ভোটে তৃণমূল কোনো এলাকায় না জিতলে সেখানে উন্নয়ন হবেনা- এ রকমই নিদান দিয়েছেন এবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা। মঙ্গলবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল খয়রাশোল সহ অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় কর্মী সভা করেন। আর খয়রাশোলের কর্মী সভা থেকেই অনুব্রত মণ্ডল পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যে এলাকায় বিজেপি জয়ী হবে, সেই এলাকায় উন্নয়নের কোন কাজ হবেনা। পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও দলকে চূড়ান্ত সতর্ক করেন তিনি এদিন। অন্যদিকে মল্লারপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধরের হুমকি দেওয়ার কারণে ইতিমধ্যে সেখানকার বিজেপি সংগঠন মল্লারপুর থানায় অনুব্রত মন্ডলের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে খয়রাশোলে 10 হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এদিন নাকরাকোদারের একটি বুথের হিসাব নিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের হাতে যে পরিসংখ্যান উঠে আসে তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিজেপির হাতে 700 ভোট, সেখানে তৃণমূল পাচ্ছে 100 ভোট। আর তাই নিয়েই অনুব্রত মন্ডল এদিন এলাকার বুথ সভাপতিকে এবং অঞ্চল সভাপতিকে একহাত নেন এবং তখনই তিনি জানান, যে অঞ্চলে বিজেপি জয়ী হবে, সেখানে উন্নয়নের কাজ হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনুব্রত মণ্ডলের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অনুব্রত মণ্ডল যে কথা বলেছেন তা অসাংবিধানিক। কারণ উন্নয়নের টাকা রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের জন্য দেয়। কোন রাজনৈতিক দলের জন্য দেয়না। অন্যদিকে খয়রাশোলের হজরতপুর, লোকপুর ও নাকরাকোদা অঞ্চলে বুথস্তরের কর্মীদের সভায় উপস্থিত হয়ে অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। দলীয় বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগ নিচ্ছে বিরোধীরা।

পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে,উন্নয়ন নিয়ে কখনওই রাজনীতি করা উচিত নয়। কারণ উন্নয়নই যখন শাসক দলের একমাত্র হাতিয়ার জয়ের জন্য, সেক্ষেত্রে উন্নয়নকে হাতিয়ার হিসেবে আরও মজবুতভাবে তৈরি করা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর কথার মধ্যে দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার ইঙ্গিত দিলেন। সে ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে জব্দ করতে গিয়ে এলাকার মানুষকে অনুন্নয়নের সঙ্গী হতে বাধ্য করছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!